সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ১৯৯৭

শূন্যতা

আমার মাথার ভেতর লক্ষ কোটি নিযুত তারা নক্ষত্র খসে পড়ে
স্মৃতি জুড়ে মহাকাশের মত শূন্যতা অনুভব করি
মনে হয় কোথাও যেন হারিয়ে গেছি।

পাগল উদভ্রান্তের মত ঘুরে পথ হারাচ্ছি
খুঁজে পাচ্ছিনা কোন উদ্দেশ্য; মনে হচ্ছে
আমার কোন গন্তব্য নেই, জ্বালা নেই, যন্ত্রণা নেই
শুধু বুক জুড়ে নিঃসীম অনন্ত শূন্যতা, শুধুই শূন্যতা
অপার শক্তিশালী সেই শূন্যতায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র
ধূলিকণার মতো উড়ে যাই, দিশেহারা আমি।

আমার হৃদয় আজ মহাসাগরসম
যার জলরাশি গেছে শুকিয়ে, খাঁ খাঁ সেই
শুন্যতায় আমার হৃদয় হাহাকার করে ওঠে
চিৎকার করে বলতে চাই, পারি না।

আমার দুঃখ কষ্ট উত্তপ্ত লাভার মতো
চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ে, ধীরে ধীরে গ্রাস করে সমগ্র চরাচর
জীবনের সকল দৃষ্টান্ত যেন ধোঁয়া হয়ে উড়ে যায়
সেই ধোঁয়ার সাথে মিশে যায় আমার যাবতীয় আনন্দ
ছোট একটা হৃদয়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনন্দ হারিয়ে ফেলি
একেবারে নিঃস্ব আজ আমার কথন
শুধুই প্রতিধ্বনি হ্য়।

হাহাকার আর আহাজারিতে আমি ডুকরে উঠি
অসহায়ত্ব আর আত্মসমর্পণের শেষ সীমায় দাঁড়িয়ে
শুধুই রিক্ততার বিষাক্ত এলাকায় যাবতীয় শূন্যতা নিয়ে
আমি মুখ থুবড়ে পড়ে থাকি।

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ১৯৯৭

বিস্মৃত স্বাধীনতা

জীর্ণ কবরটার পাশে মাথা নুয়ে
কোন এক অদৃশ্য শক্তির বন্ধনে;
আমি হয়েছিলাম ক্ষতবিক্ষত।
কোন এক শহীদের আত্মতৃপ্তির কাছে
পরাজিত আমাদের তথাকথিত সভ্যতা।।
যদি এই ছিল আদৃষ্টের লিখন
তবে কেন এই মরীচিকার পেছনে ছুটে চলা?

রক্তক্ষরণএ প্লাবিত, অশ্রুক্ষরণে স্নাত
সেই রিক্ত স্বাধীনতা!
এই মিথ্যা আত্মত্যাগ, এই মিথ্যা স্বত্বত্যাগ
কোন উপকারে কি এসেছে?
যদি কোন অজ্ঞাত কোণে,
জেগে ওঠে সেই শহীদের স্মৃতি,
কোন সুপ্ত দ্বিপ্রহরে, যদি এসে শুধায়
কী হবে তার উত্তর?