খুব অসামান্য মনে হচ্ছিলো - মুহূর্তটিকে। আমি যে মুহূর্তে তাকে, অর্থাৎ
সেই মুহূর্তটিকে যাপন করছি, কিংবা পেরিয়ে যাচ্ছি, ঠিক সে সময়ই বুঝতে
পারছি, এই মুহূর্তটি অভাবিত, তুলনাহীন! তাই মুহূর্তটির দিকে আমি তাকিয়ে
থাকি। নিষ্পলক, নিনির্মেখ, নিশ্চল। অবশ্য মুহূর্তেরও সময় নেই এক মুহূর্ত।
তাই চটজলদি সটকে পড়ে সে চোখের আড়ালে, হারিয়ে যেতে থাকে নিরেট দূরত্বে।
মুহূর্তেই বুঝতে পারি আমি পিছিয়ে পড়েছি তার সাথে দৌড়ের রেসে। টগবগিয়ে
এগিয়ে গেছে সে - আমি স্থানু।
আগে জানলে খুব সতর্ক থাকতাম, হুট করে এরকম বেখেয়ালে হারাতাম না। একটা
ফোরসেপ হাতে, আপনি নিশ্চয়ই দেখতে পেতেন, আমি ঠিক ফার্মগেট কিংবা বাংলামোটর
কিংবা নয়াপল্টন কিংবা স্টেডিয়ামের মোড়ে, খুব সতর্ক দাঁড়িয়ে আছি।
মুহূর্তটি এসে গেলেই তাকে খপ করে তুলে আনবো সাঁড়াশি-ক্ষিপ্রতায়। তারপর
সযতনে রেখে দেয়া যাবে, অনায়াসেই, অবসরকালীন শেলফটিতে। সেখানে অপরাপর
স্মৃতি ও ক্রোধের সাথে রোজ ইশকুলে যাবে সে, আর ক্রমাগত আমার অন্যান্য
মুহূর্তের সাথে ক্রূর রসিকতা করতে থাকবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন