মনে পড়ে পিতার অনুজ, নিয়ে ঘাড়ে
ঘাড়ে করে সারাদিন বনে-বাদাড়ে ঘুরে ঘুরে
আমার সামনে খুলে দিতো কী জগৎ - আহা!
কোঁচড়ে ভরে এনে দিতো কুল, বরই, শিউলি
শৈশব মাখিয়ে দিতো অপরূপ জোছ্নায়!
মনে পড়ে সবুজে হলুদে তার ত্বক রাঙা হলে
কর্কট-বিষ নালী বেয়ে হৃদয়ে পৌঁছে গ্যাছিলো-
আমি বিছানা-পাশে দাঁড়িয়ে লোমহীন ত্বকে
খুব মোলায়েমে আলতো হাত বুলিয়ে দিতাম!
পিতার অনুজের চোখে তখন সূর্যাভা পশ্চিমের।
পথ হেঁটে আজ ঐ শৈশবে ফিরে গেলে দেখি
বিমানবন্দর-রানওয়ে ছেড়ে
পিতার অনুজ উড়ালে উড্ডীন দূর বহুদূর নীলে
অ্যারোপ্লেন-গর্জনে ভীতু বালক
কেঁপেছিলো নিশ্চিত!
ফিরে এলে অনেক জোছনারা শুয়ে ছিলো আলনায়।
মনে পড়ে অ্যারোপ্লেন ভেঙে শবাধার নামলে
ভেঙে ভেঙে পড়ছিলো পিতার কাঁধ, পিতামহী নিথর-নির্বাক।
মাতার আঁচলে দুঃখ বেঁধে রেখে অচিন-বালক
শবাধার খুলে খুব কালোরঙা ঢেউ দেখেছিলো
এক মহাকাল!
সেখানে শুয়ে পিতার অনুজ শুধুই মুচকি হেসেছিলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন