মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০১৬

নট সেইফ ফর ওয়ার্ক | N.S.F.W.

প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ! দোহাই লাগে ওদেরকে ভালোবাসার ঠাপ দিন। ভালোবাসার ঠাপের অভাবে ওরা ধুঁকছে পুরনো দশটনী ট্রাকের এঞ্জিনের মতন। প্রতিটি ভালোবাসার ঠাপ দশ টাকা। কীভাবে ভালোবাসার ঠাপ দিতে হয় সেই ম্যানুয়াল পড়ে নিন অনলাইন সেলিব্রেটিদের লেখায়। তারা বিস্তারিত লিখেছেন কীভাবে ভালোবাসার ঠাপই আইসিসের জঙ্গিদের একমাত্র চাওয়া। এই ঠাপ খেলে তারা বন্দুক হাতে হাসিমুখে ছবি তুলবে না। এই ঠাপ পেলে তারা আর বেকারিতে ঢুকে আস্তে আস্তে জবাই করবে না সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে। চলুন আমরা খুঁজে বের করি আরও অনেক ঠাপাভাবে দুস্থ জঙ্গিকে। যারা এখনো আশা করে আছে কেউ এসে তাদেরকে ঠাপাবে। তবে দ্রুত ঠাপ না পেলে ভালোবাসা না খেলে তারা এদের মতই বন্দুক হাতে ছবি তুলবে। অচিরেই ঢুকে পড়বে অন্য কোন খাবারের দোকানে কিংবা সুপার-মলে কিংবা আবাসিক বারান্দায় কিংবা সংসদে কিংবা পাবলিক বাসে কিংবা এয়ার-কন্ডিশন্ড অফিসঘরে। গলা কেটে দিবে নারীদের কিংবা কিশোরদের কিংবা বৃদ্ধদের কিংবা স্লিভলেস পরিহিতাদের কিংবা শ্বেতাঙ্গদের কিংবা ছাত্রদের কিংবা বন্ধুদের কিংবা মানুষের! আরিফ কিংবা ফারুকী কিংবা আনিসুল কিংবা তাদের লেখায় লাইক চাপা তিন লাখ ভালোবাসার ঠাপ দিতে উৎসাহী বাংলাদেশি তাদেরকে ঠাপায় নি কোনোদিন।

তাই আসুন এই ভালোবাসা দিবসে আমরা ইভেন্ট খুলি। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মিলমিশিয়ে দেই ঠাপাভাবে ভুগতে থাকা এইসব দুস্থ জঙ্গি আর ঠাপাতে আগ্রহীদের। দাতা-গ্রহীতার এই অবোধ্য পাশবিক মিলন ঘটুক আর আমরা বেঁচে যাই বরং!