সোমবার, ১২ জুলাই, ২০১০

একটি প্রাকৃতিক রাত

নরম শয়ানে শুয়েছি ঘাসের ওপর, একটু আগে বৃষ্টি ঝরেছে অসাধারণ নিয়মে, তারপর সেখানে গুল্মের ভাঁজে জন্মেছে লজ্জাবতী। আমি শুয়েছি সেখানে উড়েছে সূর্যালোকে সবুজ ঘাসেরা, তারা খুশি মনে তোমার কাছে চলে গেছে। যেখানে তুমি আছো সেখানে সকলই আছে অথচ আমি নেই, আমার এখানে তুমি একটু একটু করে নেই হয়ে গেছো অসময়েই...

তারপর অনেকদিন আমাদের কথা হবে না, বুকের ভেতরে যে স্বরগ্রন্থির বাস, তারা ভুলে যাবে জিহ্বার পথ, ঠিকানা ওষ্ঠের। চোখের কিনারে জমে উঠবে প্রগাঢ় প্রয়াত দিন, সূর্যের রঙ। সন্ধ্যার আকাশে ধীরে শুয়ে পড়বে তুমি রৌদ্রহীন, আর আমি সেদিকে তাকিয়ে থাকলেও আমাদের কথা হবে না আরো আরো কয়েক সহস্র রাত

প্রোলগঃ
সেতুগুলো যেদিন সৃষ্টি হলো, সেদিন অনেকগুলো জোনাকি নদীর কিনারে আত্মহুতি দিয়েছিলো অমিত শোকের কাঁথায় চড়ে। আমি ঘটনাক্রমে সেদিনও সেখানে ছিলাম, জোনাকিরা একে একে ডুবে গেলে দেখলাম নদীর শান্ত জলে মৃতদেহ মৃদু ঢেউ তুলে চলে যাচ্ছে অতলে। দু'হাত জুড়ে ঝাঁপ দিলাম ডুবন্ত খড় ও বুদবুদের সাথে। ঘন কালো শ্যাওলার চোখে এমন অদ্ভুত রোদ সে'রাতে দেখেছি, তারপর পুড়ে গেছে আস্তিনের রাগ, বিবিধ প্রবল ক্রোধ। ছিঁড়ে গেছে যোগাযোগের সেতু -- অথচ আমার থেকেও অনেক অনেক উপরে জমে ছিলো ঘনোজল, তারও ওপরে উবু হয়ে জেগে ছিলো সেতুগুলো, চলাচলকারী চাঁদ ও জ্যোৎস্না!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন