শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ইট গেটস বেটার

আমার ইদানিং সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি হয়। বেঁচে থাকার জন্য আমি কোন কারণ খুঁজে পাইনা।
ঠিক না। ইট গেটস বেটার। অলওয়েজ।
হ্যাঁ, কিন্তু লাভ কী?
লাভ হলো স্মৃতি জড়ো করা। জীবন আসলে স্মৃতি জড়ো করা ছাড়া কিছুই না। একজনের নিজের কাছে।
বেঁচে থাকাটা হুদাই পেইন না? মরে গেলেই তো শান্তি।
না। মরে গেলে শান্তি না। শান্তি জিনিসটা তো ফিল করতে হবে। মরে গেলে সেটার সুযোগ নাই।
ওহ, তাহলে বলা উচিত, "মুক্তি"।
মুক্তিও না। কারণ মুক্তির ব্যাপারটাও একটা ইমোশন।
মইরা গেলে তো খেয়াল শেষ, কিছু যায় আসে না। টের পাবো না এর পর কী হইল না হইল। আমিত্ব হারাবে।
হ্যাঁ, কিছুই টের পাবি না।
এটাই দরকার।
এটা কোন ভাল ব্যাপার না। টের না পাওয়ার অনুভূতি হলেই শুধু টের পাওয়ার অনুভূতির মর্যাদা বুঝা যায়। অনেকটা নিঃশ্বাস নেয়ার প্রসেসের মতন।
হুম
কিন্তু মরে যাওয়া আসলেই কোন সলুশন না। প্রবলেমটা তৈরি হইসে লাইফ থেকে, তাই সেটা লাইফের ভেতরেই সল্ভ করতে হবে। লাইফ সিস্টেমের বাইরে এইটার কোনো সলুশন নাই।
হুম
তুই যতোটা মৃত্যু নিয়ে ভাবছিস, আমি সম্ভবত তার কাছাকাছি পর্যায়ে ভাবসি।
কী কমু বুঝতেসি না।
হে হে। তাইলে শোন। দুয়েক বছর খুব খারাপ থাকলে মানুষ করে যে সবকিছু অর্থহীন। কিন্তু ধীরে ধীরে একদিন সব ঠিক হয়ে যায়। আমি এখনো পর্যন্ত এমন দেখি নাই যেখানে এইটা বেটার হয় নাই।
হুম
যদি কেউ সচেতন হয় যে যা হচ্ছে তা খারাপ হচ্ছে, তাহলেই সেটা বেটার দিকে যায়। অনেকে এই সচেতনতাটাই জাগায় তুলতে পারে না। নিজেরেই নিজে ডুবানো। ড্রাগস নিলে এমন হয়। সুইসাইডের মতন এস্কেপ রুট খোঁজা। ওটা করার মত সাহস নাই তাই সাময়িক পলায়ন = ড্রাগস।
হুম
কিন্তু সেইটাও কোন সলুশন না। কারণ তারা মূল ইস্যুটা ফেইস করতেসে না। ইস্যুটা হইল যে ইট গেটস বেটার। অনেকটা ওই গুহাবাসীর মতন, প্লেটো যার কথা বলসিলো।
কে?
সারাজীবন যে একটা গুহার মধ্যে একটা দেয়াল দেখে বড় হইসে, সে জানে না কয়েক পা বাইরে দিলেই অন্য জগত। তারে টেনে হিঁচড়ে কেউ বের করে আনলে তার চোখ ধাঁধায় যায়। সে বাইরের জগতকে তখন বিশ্বাস করতে চায় না। একমাত্র সেই নিজে চাইলেই কেবল সে বের হয়ে আসতে পারবে। এই চাওয়াটা আসে যখন সে নিজেকে নিজে বুঝায় যে ইট ক্যান গেট বেটার। হোয়াটেভার আই অ্যাম ফিলিং, ইয টেম্পোরারি গ্রিফ।
হুম
মানুষ নিজের শিশু সন্তান মারা গেলেও তো বেঁচে থাকে। বাবা মা'ও মারা যায় সবার, তারপরেও তো তাদের সন্তানেরা বেঁচে থাকে। আমার পরিচিত এক আপু আছেন, তার সাত মাসের বাচ্চা মারা গিয়েছিল। উনি কখনো উল্লেখ করেন না যে সে নাই। রিসেন্টলি ওনার বাচ্চা হইসে আরেকটা। উনি ছবি দিয়ে নিচে লিখসেন, "***-এর ছোট বোন"। তার মানে উনি অস্বীকারও করছেন না। খালি মেনে নিয়েছেন যে তার প্রথম বাচ্চাটা তার সাথে নাই। কিন্তু সে তার স্মৃতিতে সবসময় আছে।
- :-(
এজন্যই শুরুতে বললাম যে সবই স্মৃতি জড়ো করা।
বুঝলাম। অনেক কথা।
আমি সিরিয়াসলি বলসি কিন্তু।
হ্যাঁ বুঝসি তো সেটা।
গুড।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন