সোমবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫

আত্মজৈবনিক

এবং কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলে খেয়াল হলো যে কবিতা লিখি না
মাথার ভেতর এই খেয়াল মাটিতে পড়ার আগেই আমি দুই ভাগ হয়ে
তর্কে নামলাম। এক ভাগ বলে ওঠে হয়তো আপ্নে কখনই
কবিতা লিখতে পারতেন না। শুনে অন্য ভাগ তেড়ে আসে,
বেশি বুঝেন ইচ্ছা হয় না তাই লিখি না নাহলে দেখিয়ে দিতাম।
আমি দুই ভাগের তর্ক শুনি, কমলার জুস খাই
জুস বেশ তেতো লাগলে ভাবি একটু চিনি মেশালে মন্দ হতো না।

অর্ধেক আমার সাথে বাকি আধখানা আমি
গলার রগ ফুলিয়ে চেঁচিয়ে-
একাকার, তর্ক চললো কয়েকশ’ বছর

তারপর টের পাই এ তর্কে নষ্ট সময় – নষ্ট জীবন – নষ্ট আয়ু
ভেতরে তখন দুই ভাগের জোড়াতালি লাগে, সেলাই করে দেই।
দুই ভাগ মিলে এক ভাগ হয়ে কবিতা না লেখার কারণ লিস্টি করতে বসে-
লিস্টিতে যোগ হয় উদয়াস্ত ব্যস্ততা
লিস্টিতে যোগ হয় একটু বুড়িয়ে যাওয়া
লিস্টিতে যোগ হয় স্নায়বিক চাপ
লিস্টিতে যোগ হয় প্রবাস-জীবন
লিস্টিতে যোগ হয় চিরচেনা নিরর্থকতা
লিস্টিতে যোগ হয় ভিন্ন পরিবেশ

লিস্টিতে ঢুকে পড়ে খাবি খাওয়া মাছের মতো একটি উপমা
লিস্টির তলে জমতে থাকে গ্রোশারির লিস্ট
লিস্টির আগে চলে আসে ট্যাক্স রিটার্নের ডেডলাইন
লিস্টিটাকে ওয়ালেটে রেখে ভুলে থাকার চেষ্টা করি।

কবিতা অনেকটা পূর্বজন্মের মতোন,
বিদ্যুচ্চমকের গতিতে ফিরে আসা স্মৃতির গাঁইতি শাবল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন