বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১০

সম্প্রতি অথবা-নগরে


কাচের জানালায় জমা হচ্ছে ড্রিজ্‌ল বিন্যাস, সন্ধ্যা খুব মোলায়েম শ্বাপদের ঢঙে হেলে পড়ছে
পুড়ছে দেয়ালে ঘোলাটে রোদের বাকি অংশ – যা জমে ছিলো – জমে থাকে


খোলা চোখে যা যা দেখা যায়, দেখা যেতে পারে, সে সব বিপুল বিভ্রম
গণিতের মতো প্রতিপাদনের উপায় নেই, আমাদের সময় কেমন রঙিন ওড়না হয়ে ভাসছে


গহন শহর ইটের পরতে অযুত গল্প লিখিত হয়, কোনো ইতিহাসে যার লিপি থাকবে না
জানা হবে না, কিভাবে স্ট্যাটাস বদলে যায় কোমল কিশোরীর, ছায়াহীন-নগরের পিঠে


ঘেঁয়ো কুকুরটি গতকাল থেকে ভাসমান ভিক্ষুকদের পিছু পিছু হাঁটছে, পেরিয়ে যাচ্ছে
শামুক–আইল্যান্ড, হৃদয়–ট্রাফিকের গরম চোখ, শহরে গরম ফ্যানের খাদকের অভাব নাই


'ঙ' -তে ব্যাঙ, যে ব্যাঙের গল্প ভাঁটাগুলোর ধোঁয়ার সাথে পাক খায়, নিঃসীমে উড়ে যায়
সেই রাজকুমার আজ মলিন কাচপুর ব্রিজের ওপর দীর্ঘ গাড়িজটে আটকা পড়ে হাই তুলছে


চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর দুটো টিকেট পেয়েছি, তোমার সাথে আমি চলচ্চিত্রের চর্চা করবো
অ্যারোনোফস্কির ছবি আমি বুঝি না, ঘোর ঘোর লাগে। তার চে' তোমার কোমল বাহুর উষ্ণতা শ্রেয়


ছবি দেখার সময়ে তুমি, কেন জানি, আমাকে দেখো না, ছবির দিকেই তাকিয়ে থাকো
তখন আমি তোমার পাশে বসেই তিন মুহূর্তে অসংখ্য দৃশ্যকল্প খুন করি


জঙ্গল কমে গেছে নগরে, তারপরেও হঠাৎ বড়োলোকপাড়ার গহীন গলিতে
আমার শীত লাগে, গাছের ছায়ার তলে আমি রূপকথা মাপি, ঘেয়ো কুকুরের চোখ চাটি


'ঝিনুক নীরবে সহো' বলে দিলে কবির কিছুই হয় না, সে তারপরে নিশ্চিন্তে ঘুমুতে পারে
খালি ফেঁসে যায় নির্বাক ঝিনুক, ডুবুরি না এলে পরে মুক্তোটাকে তার কুৎসিত লাগে


ঞ্যামন নাঁকে নাঁকে কঁথা বঁলছে জেল-আটক বাবর, তেল চুপচুপে চুলগুলো তার, অনাদরে ধূসর,
ক্রমশ পর্দাজুড়ে বেলেল্লার ফ্রেম – আর সেখানে গোলাপি শাড়ির সাথে ইফতার খায় পাজামা দাড়ি



****

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন