মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০১১

ভোরের ভালোবাসা

ভোরের ব্যাপারটাই ডেঞ্জারাস। কেন বললাম?

যে প্রতিপক্ষকে দেখা যায়, জানা যায় যে সে আক্রমণ করবে, তার সম্বন্ধে সতর্ক হওয়া যায়। কিন্তু যে চুপিসারে আসে, নিঃশব্দে হরণ করে, তাকে কীভাবে ঠেকাবো? কোন উপায়ে সতর্ক হবো?

ভোরের সময়টা ও'রকম। ধীরে ধীরে চুপিসারে এসে উপস্থিত হয়। কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই। খালি কিছু পাখপাখালি জেগে ওঠে সমস্বরে। ওদের কিচির মিচির আমি শুনতে পাই না অনেক সময়, জানালা বন্ধ থাকলে। তবে আজ ভাগ্যক্রমে টের পেলাম। জানালার বাইরে বড়ো বড়ো গাছ। এখন নাম জানি না বলে আফসোস হচ্ছে। পাখিগুলো ডেকে দিলো, ডাক দিলো অমল সুরে। ঘুম ভেঙে জড়তা নিয়ে তাকিয়েছিলাম!

ভোর এসে বোকা বানিয়ে দিলো। কমলা কমলা ভোর। দুয়েকটা একলা একলা পাখি উড়ছে, ডানা ঝাপটানি কম। মনে হয় ওরাও সকাল সকাল উঠে খুব আড়মোড়া ভাঙছে। ডানা ঝাপটানোর ব্যস্ততা নেই। শহরও পাখির মতো। অস্থিরতার আগে কয়েক মুহূর্ত থমকে আছে। তারপর শেকলের মতো, হাঁপরের মতো যান্ত্রিক চলন শুরু হয়ে যাবে।

আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। এই সময়টা উপভোগ করতে ইচ্ছা করে। চোখ বন্ধ করার সাথে সাথে ঘ্রাণ পাই মৃদুমধুর। পাতার ঘ্রাণ। ফুলের ঘ্রাণ। কাল রাতে ছেড়ে রাখা শার্টটার ঘ্রাণ।

চোখ বন্ধ করতেই শব্দ পাই নানারকম। রিকশা নেমেছে বোধহয় একটা, টুং করে বাজিয়ে গেলো। টুইটুই করে উঠলো এখটা পাখি। ক্রোচক্রোচ শব্দ করছে আরেকজন। জানালার পর্দায়ও খসখসে সকালের শব্দ হচ্ছে। ভোর এসে গেলো।

দেখো, ...
আমাদের জীবন ঠিক এই মুহূর্তের পরে একদম অর্থহীন!







===============




কয়েকটা বেহুদা লাইনঃ
রাত চারটে বাজলে একসাথে সবগুলো ডিজিট বদলে যায়
দেখো তিন হয়ে ওঠে প্যাঁচানো চার,
সাপের মতো শরীর গড়ে ওঠে গোলগাল তিনের
আরো দেখো পাঁচ আর নয় পাশাপাশি ছিলো
সুখে দুখে স্বল্পকাল
এক ঝটকায় উবে গেলো তারা শূন্যে মিলায়ে গেলো শরীর
দুটো শূন্য চলে এলো ধপ্‌ করে
দৃশ্যগুলোই তো বদলে গেলো একেবারে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন