শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০০৮

অতিক্রান্ত বিকেলস্মৃতি


ক্লাশ শেষ হবার ঠিক তিন মিনিটের মাথায় দু'চারটে বেঞ্চ আর
মাঝে জমিয়ে রাখা খাতাপত্তর ব্যাগ
দু'চারজন সহপাঠীর কলরোল সরিয়ে
মোটাসোঁটা ফটোকপি-বইয়েরা
স্যারের নোটাকার পথ্যসকল
ছড়ানো কলম- পোড়ানো হৃদয় ছাপিয়েও
অমিতলাবণ্য কাছাকাছি চলে আসে
তাদের জন্যে বিকেল ফুরোতে ফুরোতে
কোমল গান্ধারের সলতে জ্বেলে দেয়
অমিশুক দারোয়ান খটখটে হেঁটে যাবার কয়েক মিনিট পরঃ
অমিতলাবণ্য পুনর্জন্ম নেয়।


সেখানে আদতে লাবণ্যের ওড়না থেকে
নরোম-রোদ্দুর-গোলানো-মাঘ ঝরে পড়েছিলো জানি
বলে আমি চুপচাপ চোখ মেলে থাকতে ভালোবাসি।
বেঞ্চ আর অমিতের ঝুল ফতুয়া, আমার সাথে নিনির্মেখ ঘিয়েরঙা ওড়নার প্রতীক্ষা করে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন