শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০০৯

দৃশ্যকর্মী

১,
বড়ো বেখাপ্‌ ঝুলে আছো ছয়তলার ওপরে বিমর্ষ
তবু হাসিমুখ, দেখি তোমার। ঝুলে থাকা থোকা থোকা
হাসিমুখ। রোদে ঝলসে গেছে সেইচোখমুখ, হাসি।
উল্টোবাদুড় ঝোলা হয়ে দুলছো সরল দোলক।
দেখতে লাগছে বেশ, হাসিটি উল্টে গিয়ে বিষণ্ণতা ঝুলছে


বিষাদের ধর্ম নয় তেমন স্থির, সুতরাং ঝুলে ঝুলে নেমে
আসছে রোদার্ত-ক্ষোভ আর ভয়াটে মোমজ জল,
অশ্রুজল। অভিকর্ষ বড়ো প্রয়োজন, প্রিয়তম আকর্ষণটি
উলম্ব।
তাই ঝুলে ঝুলে অশ্রু নামে, হাসি নামে না- উড়ে যায়
সেভাবেই ওঠা কিংবা নামা মেপে মেপে ছয়তলা থেকে
তুমি নেমেই উঠে যাচ্ছো বেশ! তরতর সুপার-হিউম্যান...






২,
বোঝা গেলো নিচ থেকে দেখা সবই কালো কালো লাগে
আলোবার্তা চলাচলের পথ রাজপথ থেকে দূরে, সেই ট্র্যাকে না পড়লে
কি-ছু দে-খা যা-য় না। কি-ছু চো-খে প-ড়ে না।
অন্ধ লাগে নিজেকে। তাই মনে হয় উপরে উঠি,
উপরে উঠলে পুলক পুলক। অর্গ্যাজমের ঝলক।
মাখো মাখো তরলিত মেঘ,
সুশীল ঘাম মোছো সুগন্ধিটিস্যুতে, ভিজে নমোনমো নরোম হয়েছে সেটি
গুটিয়ে ফেলে দাও ঘামসমেত- আস্তাকুঁড়ে। পাশে আস্তাবল ঘোড়ার গন্ধ আসে
তীব্র গন্ধস্রোত নাকের ভেতরে অযৌন-বাসা বাঁধে
হরিৎ!
এবং আমাদের গলি উপগলিতে নালি উপনালিতে থকথক করে ক্লান্তরমণ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন