শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০১০

একটি খুব সাধারণ ঘটনা



মৃত্যু খুব সাধারণ ঘটনাঃ
একটা বইয়ের পাতা ওল্টানোর মতোই নিত্যদিনের ঘড়ির কাঁটায় ঘাপটি মেরে বসে আছে।


যেভাবে তুমি চুল আঁচড়াও বা ঘুম ভেঙে দু'হাত আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে এলোমেলো ছড়িয়ে দাও সূর্যরশ্মির মতোন, সেভাবেই মৃত্যু হেঁটে এসে কলিংবেল বাজিয়ে দেয়। সেও আমাদের মতো আধুনিক হয়ে গেছে। যেমন সময় খুব আধুনিক আজকাল, নিয়মিত কোয়ার্টজের অণুতে মিশে থাকে, ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সময় তেমন ভুল করে না, তবে মৃত্যু মাঝে মাঝে ভুল হিসেবে কাছাকাছি চলে আসে খুব- যেমন চড়ুইটা সেদিন হুট করে জানালা গলে আমাদের ঘরে এসেছিলো। তুমি আঙুলের নখ কাটছিলে দাঁতে আর আমি তোমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিচ্ছিলাম কপট রাগে, আর তখন চড়ুইটা আমাদের মাঝে অনেক না-বলা কথা হয়ে অযুত মুহূর্ত ঝুলে রইলো।


তারপর?
-তারপর ফুরুৎ


তারপর?
-তারপর ফুরুৎ


কে ফুরুৎ, মৃত্যু না চড়ুই?
-ওমা তুমি বুঝো নাই কে ফুরুৎ? খেয়াল কোথায় থাকে তোমার আজকাল? চোখের নিচে গাঢ় হ্রদের কালো পানির দাগ আর কপালে মরূদ্যানের ভাঁজ কেন! কেন শিথিল হয়ে আসে তোমার হাতের মুঠো? কেন দাঁত কাটার মতো তুচ্ছ মুহূর্তে চড়ুইটা বা মৃত্যুটা এলো আর চলে গেলো? তারপর সব ফুরুৎ।


একটু আগে আমি ভুল বলেছি। সময় ঠিক আধুনিক হতে পারেনি। সময় এখনও চিরপুরাতন মৃত্যুর কাছে হেরে যায় রোজ। প্রতি পদক্ষেপে সে আমাদের থেকে আরো একটু করে ছিনতাই হয়ে যায় মৃত্যুর কাছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন