মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১১

জবাই

শান দেয়া ছুরিটা দুই হাতে শক্ত করে ধরতেই সুলতান মিয়ার শরীর একটু কেঁপে ওঠে। হালকা কাঁপুনি, দুই সেকেন্ডেই হারিয়ে যায়। আঙুলগুলো নাড়াচাড়া করে সুলতান আরো শক্ত করে ধরে লম্বা বাঁকানো ছুরিটার বাট। বেলা প্রায় দ্বিপ্রহর। নামাজের ওয়াক্ত চলে গেছে। আজকে সারাদিন আকাশ মেঘলা বলে সূর্যের তেজ বুঝতে পারছে না সুলতান। ঘোলা ঘোলা মেঘের সাথে আজকে বেশ বাতাস ছুটেছে। গ্রামের মাঠে বাতাসের তোড়ে লুঙ্গি সামলানো কঠিন। সকালে দশটার দিকে মাঠে গিয়ে লুঙ্গি উড়ে যাচ্ছিলো তার। হঠাৎ দমকা বাতাসে পাছার কাপড় সরে গেলে এক পিচ্চি ফ্যাক করে হেসে দিছিলো। হাসি শুনে কটমট করে তার দিকে তাকায়ে সুলতান একটা চাপা হুঙ্কার ছাড়ে। হুঙ্কারে কাজ হয়, পিচ্চি ভয়ে উল্টা দিকে দৌড় দেয়। সিকনি-পড়া নাক টেনে দৌড়ানোর সময় সুলতান দেখে, পিচ্চিটারও উদোম পাছা।

'যাকগে, গেছে গেছে, আর কেউ খেয়াল করে নাই, মানীর মান আল্লায় রাখে', ভেবে নজর ফেরায় মাঠের এক পাশে গাছগুলোর গোড়ায়। এখানে দুইটা শয়তানের পুত বেজন্মাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। চোখ বাঁধা আছে বেজন্মাগুলার, দুইটার মুখে রাইফেলের বাট দিয়ে শক্ত বাড়ি দেয়াতে দাত ভেঙে গেছে, ঠোঁট কেটে গেছে। রক্ত জমে কালসিটে পড়ে ফুলে আছে চেহারা, বোঝার উপায় নাই বেজন্মাগুলা আসলে দেখতে কেমন ছিলো। সুলতান দাঁতে দাঁত ঘষে। নালায়েকের দল। হিন্দু মালাউনদের সাথে হাত মিলানো কুত্তা এইগুলা। আজকে এইগুলারে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে। কুরবানি দেয়া হবে সবার সামনে।

বাসায় ফিরে লুঙ্গি বদলে পায়জামা পাঞ্জাবি পড়ে নেয় সুলতান মিয়া। বাতাসের বেগ বিকালে আরো বাড়বে, রিস্ক নেয়া ঠিক না। উঠানে বসে ছুরিতে শান দিচ্ছিলো এক খাদেম। তাকে ডেকে এনে ছুরির শান পরীক্ষা করে সুলতান। বুড়া আঙুল ছোঁয়াতেই বুঝতে পারে, ধার মাশাল্লাহ দারুণ হয়েছে। এইসব কাজে ছুরি ভোঁতা হইলে খুব অসুবিধা। মনে মনে সন্তুষ্ট হলেও সেটা মুখে প্রকাশ করে না সে। খাদেমকে গম্ভীর গলায় আরো ধার দিতে বলে। 'বালু মিশায় নে, ধার তাড়াতাড়ি হইবো'।

শান্তি কমিটির অফিস থেকে বাকিদের নিয়ে দুপুরের পরে মাঠে গিয়ে হাজির হয় সুলতান মিয়া। এতোক্ষণে অনেক মানুষ জমায়েত হয়ে গেছে। এদের সবার উদ্দেশ্য একটাই, সুলতান মিয়াকে দেখা। 'ভেড়ার দলের জন্যে ভালো লিডার লাগে, ভেড়ার দল হাতের মুঠির মধ্যে রাখতে হবে', ভাবে সে। গাছগুলোর সামনে দুইটা ছোট ছোট গর্ত খোঁড়া হয়েছে। এক হাত গভীর এবং এক বর্গহাত আকারের। এই বিষয়ে স্পষ্ট মাপ থাকা জরুরি। রক্ত যেন গড়ায় না পড়ে, রক্ত গড়ানো ভালো লক্ষণ না। খাদেমদের চোখের ইশারা করে সুলতান। প্রথম বেজন্মাটাকে ধরে আনতে বলে সে। পা ছেঁচড়ে নিয়ে আসে চারজন খাদেম। হাত পিছনে মুঠ করে বাঁধা, চোখ বাঁধা, গলা দিয়ে গ্যাঁগ্যাঁ শব্দ করছে শুয়োরের বাচ্চাটা। সুলতান একদলা থুতু ফেলে ওইটার মুখের ওপর। জমায়েতের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। সুলতান জানে এখন এদেরকে ভয় দেখাতে হবে। কুরবানি কোন মশকরা না। এই বেজন্মাগুলার মতো আর কোন বেজন্মা যেন মাথা তুলতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। গলা উচু করে জমায়েতের দিকে স্থির চোখে তাকায় সে; বলে ওঠে, 'ইসলামের শত্রু, পাকিস্তানের শত্রু এই দালালরা। ইন্ডিয়ার ট্যাকা খায়া এখানে ব্রিজে বোমা ফেলছে এরা। পাকিস্তান ভাইঙ্গা দিতে চায় এরা। এগোরে কুরবানি দেয়া হবে এখন। সবাই হুঁশিয়ার!' চার জন খাদেম শক্ত করে চেপে ধরে শুয়োরটাকে। পায়জামাটা টেনে কাছে ঝুঁকে আসে সুলতান, ওইটার গলার চামড়াটা ফর্শা লাগছে। ছুরি শক্ত করে ধরে গলার চামড়ায় ছোঁয়ায়। 'ছুরির গোড়া থেকে আগার দিকে যাইতে হবে', 'এক টানে কাইটা ফেলতে হবে'। "আল্লাহু আকবর" বলে জোরে পোচ বসায় সুলতান মিয়া। গলার চামড়া ফ্যাট করে কেটে ছুরিটা ভিতরে ঢুকে যায়। মুহূর্তেই গরম রক্ত ফিনকি দিয়ে বের হয়ে আসে। সুলতান দুই হাতে উষ্ণবোধ করে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছুরিটা গেঁথে দিতে থাকে গলার ভিতরে। ঘড়ঘড়ঘড়ঘড়...

চার জনে চার হাত-পা ধরে রাখায় ছুটাতে পারে না বেজন্মাটা। একটু দাপাদাপি করে। শান্ত হয়ে গেলে সুলতান খাদেমদের বলে 'শরীর উল্টায় দে। রক্ত ছিটা না পড়ে।'

'পরেরটারে ধইরা আন', হুকুম তামিল হতে সময় লাগে না। এটার স্বাস্থ্য একটু ভালো। পা ছুঁড়ে ছিটকে ফেলার চেষ্টা করে এইটা। সুলতান ধমক মারে, 'শক্ত কইরা ধর, ভাত খাস নাই নালায়েক!' গালিতে কাজ হয়, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক উৎসাহী খাদেমও এসে হাত লাগায়। পাঁচজনে মিলে ধরে বসে মোটা বেজন্মাটাকে। সুলতান ছুরিটা সরিয়ে বড়ো দা'টা হাতে নেয়। 'এইটারে দাও দিয়া কোরবানি দিতে হইবো', ভেবে একই নিয়মে বলে ওঠে, "আল্লাহু আকবর"। ঘড়ঘড়ঘড়ঘড়ঘড়...

দাপাদাপির চোটে একটা পা ছুটে যায়। শুকনো মাটিতে ক্রমাগত বাড়ি দিতে থাকে গোড়ালি দিয়ে। গর্তের চারপাশের ঘাসগুলো দ্রুত কালচে হয়ে ভিজে যেতে থাকে রক্তে। গরম উচ্ছ্বল রক্তে ভেসে যায় সুলতান মিয়া। চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে দোয়া আওড়াতে থাকে সে। মিষ্টি বাতাস তার গায়ে প্রশান্তির আবেশ বইয়ে দেয়। কুরবানি সম্পন্ন। পেয়ারা পাকিস্তান জিন্দাবাদ!



*****
- অনীক আন্দালিব
২৬/৪/১১
(দ্রঃ আজ ২৬ এপ্রিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চল্লিশ বছর এক মাস। এখনও মনে পুষে রাখি। এখনও মনে রাখি। কারও বিচার হয় নি। এক জনেরও না! লেখাটির পিছনে সম্পূর্ণ কৃতজ্ঞতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সৈয়দ শামসুল হক ও 'গেরিলা' ছবির সাথে জড়িত সকল মানুষের।)

আপডেটঃ ৯ আগস্ট, ২০১৫
শান দেয়া চাপাতিটা দুই হাতে শক্ত করে ধরতেই সুলতান মিয়ার শরীরে শিহরণ বয়ে যায়। হালকা কাঁপুনি, দুই সেকেন্ড। আঙুলগুলো নাড়াচাড়া করে সুলতান আরও শক্ত করে ধরে চাপাতির  খাটো বাট। বেলা প্রায় তিনটা। জোহরের নামাজের ওয়াক্ত চলে যাচ্ছে। সারাদিন আকাশ মেঘলা বলে সূর্যের তেজ বুঝতে পারছে না সুলতান। ঘোলা ঘোলা ছাইরঙা মেঘের সাথে আজকে বেশ বাতাসও ছুটেছে। গ্রামের মাঠে বাতাসের তোড়ে লুঙ্গি সামলানো কঠিন। সকালে দশটার দিকে মাঠে গিয়ে লুঙ্গি উড়ে যাচ্ছিলো তার। হঠাৎ দমকা বাতাসে পাছার কাপড় সরে গেলে এক পিচ্চি ফ্যাক করে হেসে দিয়েছিলো। হাসি শুনে কটমট করে তার দিকে তাকিয়ে সুলতান একটা চাপা হুঙ্কার ছেড়েছিল। হুঙ্কারে কাজ হলো, পিচ্চি ভয়ে উল্টা দিকে দৌড়ে পালালো। সিকনি-পড়া নাক টেনে দৌড়ানোর সময় সুলতান দেখে, পিচ্চিটারও উদোম পাছা।

যাকগে গেছে গেছে, আর কেউ খেয়াল করে নাই... মানীর মান আল্লায় রাখে, এই ভেবে সে নজর ফেরায় মাঠের এক পাশে গাছগুলোর গোড়ায়। এখানে দুইটা শয়তানের পুত বেজন্মাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। চোখ বাঁধা আছে বেজন্মাগুলার। সুলতান দেখলো দুইটার মুখে রাইফেলের বাট দিয়ে শক্ত বাড়ি দেয়াতে দাঁত ভেঙে গেছে, ঠোঁটও কেটে গেছে। রক্ত জমে জায়গায় জায়গায় কালশিটে পড়ে ফুলে আছে চেহারা, বোঝার উপায় নাই বেজন্মাগুলা আসলে দেখতে কেমন ছিলো। সুলতান দাঁতে দাঁত ঘষে। নালায়েকের দল। হিন্দু মালাউনদের সাথে হাত মিলানো কুত্তা এইগুলা। আজকে এইগুলারে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে। জবাই করা হবে সবার সামনে।

বাসায় ফিরে লুঙ্গি বদলে পায়জামা পাঞ্জাবি পড়ে নেয় সুলতান মিয়া। বাতাসের বেগ বিকালে আরও বাড়তে পারে, ঝুঁকি নেয়া ঠিক না। উঠানে বসে চাপাতিটায় শান দিচ্ছিল খাদেম শহীদুল। সুলতান তাকে ডাক দেয়, সময় নিয়ে সাবধানে শান পরীক্ষা করে। বুড়ো আঙুল ছোঁয়াতেই বুঝতে পারে, ধার মাশাল্লা দারুণ হয়েছে। এইসব কাজে চাপাতি ভোঁতা হইলে খুব অসুবিধা। মনে মনে সন্তুষ্ট হলেও সেটা মুখে প্রকাশ করে না সে। শহীদুলকে গম্ভীর গলায় আরও ধার দিতে বলে। 'বালু মিশায় নে, ধার তাড়াতাড়ি হইবো'।

বিকেল আরেকটু গড়িয়ে পড়লে শান্তি কমিটির অফিস থেকে বাকিদের নিয়ে মাঠে গিয়ে হাজির হয় সুলতান মিয়া। এতক্ষণে অনেক মানুষ জমায়েত হয়ে গেছে। সুলতানের মনে হয়, এদের সবার উদ্দেশ্য একটাই - এরা আমাকে দেখতে এখানে এসে হাজির হয়েছে। এরা বিভ্রান্ত। ভীতু। এরা বোকার হদ্দ। সঠিক পথ চেনে না। বিদ্যাবুদ্ধি অর্জন করে নাই। এরা জানে না চারপাশে কী হচ্ছে। কী করা উচিত একজন সাচ্চা মুসলমানের। তাই তারা আমার ভরসায় এখানে এসেছে। ভেড়ার দলের জন্যে ভালো লিডার লাগে, ভেড়ার দল হাতের মুঠির মধ্যে রাখতে হবে - ভাবে সে। গাছগুলোর সামনে দুইটা ছোট ছোট গর্ত খোঁড়া হয়েছে। দৈর্ঘ্য-প্রস্থে এক হাত করে এক হাত গভীর। এই বিষয়ে স্পষ্ট মাপ থাকা জরুরি। রক্ত যেন গড়ায় না পড়ে, রক্ত গড়ানো ভালো লক্ষণ না। শহীদুলকে চোখের ইশারা করে সুলতান। প্রথম বেজন্মাটাকে ধরে আনতে বলে সে। শহীদুলের সাথে হাত লাগায় সোবহান আর মুরশিদ। দুই হাত আর চুল ধরে বেজন্মাটার পা ছেঁচড়ে নিয়ে আসে তিনজন খাদেম। হাত পিছনে মুঠো করে বাঁধা, চোখ বাঁধা, গলা দিয়ে গাঁগাঁ শব্দ করছে শুয়োরের বাচ্চাটা। সুলতান এক দলা থুতু ফেলে ওইটার মুখের ওপর। জমায়েতের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। সুলতান জানে এখন এদেরকে ভয় দেখাতে হবে। জবাই করা কোন মশকারি না। এই বেজন্মাগুলার মতো আর কোন বেজন্মা যেন মাথা তুলতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। মাথা উঁচু করে জমায়েতের দিকে স্থির চোখে তাকায় সে; গলা তুলে বলে ওঠে, 'ইসলামের শত্রু এই মালাউনের বাচ্চারা। ইন্ডিয়ার ট্যাকা খায়া এখানে ব্রিজে বোমা ফেলছে এরা। পাকিস্তান ভাইঙ্গা দিতে চায় এরা। এগোরে জবাই দেয়া হবে এখন। সবাই হুঁশিয়ার!' শহীদুল, সোবহান, আর মুরশিদ শক্ত করে চেপে ধরে শুয়োরটাকে। পায়জামাটা টেনে কাছে ঝুঁকে আসে সুলতান, সামনে গলার চামড়াটা ফর্শা লাগছে। চাপাতিটা শক্ত করে ধরে গলার চামড়ায় ছোঁয়ায়। 'চাপাতির গোড়া থেকে আগার দিকে যাইতে হবে'। 'এক পোঁচে কাইটা ফেলতে হবে'। "আল্লাহু আকবর" বলে জোরে পোঁচ বসায় সুলতান মিয়া। গলার চামড়া ফ্যাট্‌ করে কেটে চাপাতিটা ভিতরে ঢুকে যায়। মুহূর্তেই গরম রক্ত ফিনকি দিয়ে বের হয়ে আসে। সুলতান দুই হাতে উষ্ণবোধ করে, বুড়ো আঙুল দুটো বাটে চেপে ধরে সে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে গেঁথে দিতে থাকে গলার ভিতরে। ঘড়ঘড়ঘড়ঘড়...

তিন জনে হাত-পা ধরে রাখায় ছুটাতে পারে না বেজন্মাটা। পা ছোঁড়ার চেষ্টা করে, কাঁধ ঝাঁকিয়ে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করে। বুক পেট উঁচু করে উঠে আসতে চায়। শহীদুল আর সোবহান চেপে ধরে রাখে। এক টানে গলা পুরো কাটে না। কিন্তু দ্বিতীয় টানের সময় ফড়াৎ করে গলার নালীটা ফেটে যায়। দাপাদাপি শান্ত হয়ে গেলে সুলতান খাদেমদের বলে 'শরীর উল্টায় দে। রক্ত ছিটা না পড়ে।'

'পরেরটারে ধইরা আন', হুকুম তামিল হতে সময় লাগে না। এটার স্বাস্থ্য একটু ভালো। পা ছুঁড়ে ছিটকে ফেলার চেষ্টা করে এইটাও। সুলতান ধমক মারে, 'শক্ত কইরা ধর, ভাত খাস নাই নালায়েক!' গালিতে কাজ হয়, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক উৎসাহী দর্শকও এসে হাত লাগায়। চার জনে মিলে ধরে বসে মোটা বেজন্মাটাকে। সুলতান তার রক্তে পিচ্ছিল হাত দুটো খবরের কাগজে মুছে বাটটা আবারও শক্ত করে ধরে। বলে ওঠে, "আল্লাহু আকবর"। ঘড়ঘড়ঘড়ঘড়ঘড়...


দাপাদাপির চোটে একটা পা ছুটে যায়। শুকনো মাটিতে ক্রমাগত বাড়ি দিতে থাকে গোড়ালি দিয়ে। গর্তের চারপাশের ঘাসগুলো দ্রুত কালচে হয়ে ভিজে যেতে থাকে। গরম স্রোতের মতো উচ্ছল রক্তে ভেসে যায় সুলতান মিয়া। চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে দোয়া আওড়াতে থাকে সে। দমকা বাতাস তার গায়ে প্রশান্তির আবেশ বইয়ে দেয়। জবাই সম্পন্ন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন