সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০০৯

শৈশব-ইন্দ্রিয়ের গান

ঘুড়ির লেজে করে উড়ে গেছে দুরন্ত আটপৌরে রোদ। শরীরে ঘুমপ্রিয় ক্লাশরুমেরা একা একা অযথাই ফাঁকা হয়ে বসে থাকে। ক্লাশের মেয়েরা বেণীর পেছনে মেঘের দরজা খুলে নেমে আসে, ওড়নাপ্রান্তে বেঁধে নিয়ে নিজ নিজ হোমওয়ার্ক। হাত বাড়িয়ে মেঘপ্রান্তের ঢেউ ছুঁয়ে দেখেছি, সেখানে শুভ্র রাতের ওপারে কুসুম কমলা ভোর আঁকা। পানিতে ঢেউ কেটে কেটে একবালিকার অবসন্ন রাত থরথরিয়ে ওঠে, দ্রুত নেমে যায় নিঠুর কাঁপন! যেমন ভেবেছি: কাটাকুটি খেলার গোপন টিফিন-আওয়ার, টয়লেটের দেয়ালে দ্বিমাত্রিক স্তন আর সুগোল উরু ঝাঁজালো অ্যামোনিয়ার সাথে নাসা অন্দরে, চোখের ভেতরে, খুলির নিবিড়ে, গোপনে ঢুকে পড়ে আর প্রসারিত বস্তির উল্লাস মাপে। কাদা-মাখা ন্যাংটো শৈশব হি হি করে হেসে দেয়, জানে উস্থূর নগ্নতায় মিশে যাবে সকল কোলাহল, অবিমিশ্র হাসি আর গান। আহা, বিষণ্ণ দুপুর-ভাঙা হলুদ ফিতে, ছাদে নেড়ে দেয়া ভিজে সালোয়ারের কুঁচি শুকোনোর পরেও সিক্ত মনে হয় আর সেখানে চিলেকোঠার পুরোনো বালিশ গোলাপী দাগের মত সারাদিন তাকিয়ে থাকে।



----

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন