রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০০৯

দাপ্তরিকের প্রত্যাবর্তন

সাম্প্রতিক


আমি বৈপরীত্য বুঝি, যেভাবে আমাদের আচরণে এই বোধ পালিত হয়।
অসহ্য রোদ ত্বকভেদ করলে আমার কেবলই মনে পড়ে বিগত শীত, ঊলভেজা স্মৃতি এবং ডিসেম্বরের বিকেল। তিন মাসব্যাপী ক্রমশ নিদ্রাহরণ, যুদ্ধযাপন শেষ হয়, চল্লিশ বছরের পুরনো অভ্যাস, এপ্রিল এলেই ভালো থাকি!
আমাদের নিয়ত যুদ্ধসমূহ নথিভুক্ত হয় না।






নদীপ্লট


খুব ভোরেই শহরপত্তনঃ কতিপয় বর্গাকার প্লট
ঘেসোজমিতে বাউণ্ডুলে শিশুগাছ
সিমেন্টের বানানো-
ডি-মার্‌-কে-শন্‌।
আমাদের শহরে রাত হয় না।
ব্লুপ্রিন্টে ভুল নেই বলে
জমি খুঁজে পাওয়া গেছে
আমি খেয়ো-ইঁটপথ ঘুরে ঘুরে নদীর কিনারে এসে
বুঝে নেই ৬০০বাই ৪০০, মন খুঁতখুঁত করে।
এখানে বুঝি দরিদ্র সন্ধ্যা একবার নেমেছিল শত বছর আগে!
নগরে রাত হয় না আমাদের,
আদিগন্ত পৃথিবীতে সবাই নাগরিক স্বপ্ন বেচে খাই।






তত্ত্বসুন্দর


"প্রোফাউন্ড বিউটি বলে কিছু নাই"--
একথা বলে সিরাজুল সাহেব ঈষৎ মাথা ঝাঁকান।
আমার হাতে স্ফটিকের গ্লাস আরেকটু শীতল হয়
ঘনোচুমুকে ছলকে তরলতত্ত্ব আমার মুখে,
গলায়, অন্ত্রে চলাচল সহজেই করছে।
আমি পাশে শায়িত সুন্দরীর লেজ-নাড়া দেখি
মুক্তা-দাঁতে ঝিলমিল বিপনন- আহা বিষণ্ণ প্রোডাক্ট,
কনজ্যুমার বেসিসে তার শরীর আদল বদলায়
এটাও এক গবেষণার বিষয় হতে পারে বই কি?
সুন্দরীর গম-আঙুলে তাবৎ তত্ত্বের মূল রোপন করা, তাই সেই স্মিত হাসি বড়ো মনোহর লাগে!
সিরাজুল সাহেবের জুড়ি মেলা ভার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন