রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০০৯

একটা হওয়া না হওয়া নিয়ে খানিক বাচালতা কিংবা আজীবন ভেবে আমি যা ভেবে পেয়েছি


অ.তুমি শুরু করলেই হয়?
এভাবে হবে না কিছুই - যেমন টের পাই
আমার ভেতরে শব্দগুলো হতাশ হয়ে তাকায়
মাথা নেড়ে তারা খুব ম্রিয়মাণ হয়
ধুস্‌শালা! নষ্টমানুষ একটা!
স্ফটিক-বিম্বে বন্দী করছে আমাদের।


আ.কী নিরালম্ব আমাদের ঘুম!
ওভাবেও হবে না- তারা বলে, যখনই আমি সুঁই সুতো দিয়ে বাঁধতে গ্যাছি
"শুয়োরের ছাও, ফটকামি বোঝাও?"
এইভাবে গালি খেয়ে আমি চমকায় গ্যাছি
হাত থেকে সুঁই সুতা পিনপতনের দ্রুততায় হারাইলো
শুয়োরের ছাও হয়্যা আমি পুইড়া গ্যালাম


ই.এই অপার, জীবন হায়?
কোনভাবে হবে- তাও জানি না
যেভাবে শব্দ খেলি
যেভাবে তাদের সাথে শুই
গরম হই, "ওহ! শব্দসুন্দরী আসছে তারা ক্রমাগত একে একে"
ঠাণ্ডা হই, "যাহ্‌, কোথায় গমন গজহীন ভোর, কালকের পরে আর আসেনি তারা"
হাইস্যা ফেলি হা হা হা!
দমকে দমকে আমার শরীর নেতায় পড়ে।


ঈ.যাত্রার শেষ কোথায় হে পালিত পিতা!
সেভাবে হবে- বলে নিমগ্ন কবি
পাশে কাগজ কলম হাতে বসে দুর্দান্ত গতিতে
স্তবক স্তবক নেমে আসে থরথরে
পংক্তি পংক্তি জারি হয় গোলগাল সরব
এক একটা সর্গ রচিত হয় সানন্দেই


...আমি বুঝি আমার হাত নয়, লিখছে অপর মানব কোন ছায়াহীন কায়াহীন
আদ্যোপান্ত গাঢ় রোদ মেখে
শালা... আমার আর হইলোই না!


***

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন