বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০০৯

দূরত্ববোধক

দূরত্বের নাম নেই, শহর কিংবা গ্রামে আমাদের দূরত্ব নিয়ম মেনেই বাড়ে-
ধীরে স্থবির চোখ মেলে নিমেষব্যাপী আমরা দুঃখ থেকে দূরগামী হই
দুঃখ সিঁড়ি বেয়ে সাপের মত উঠে আসে সন্তর্পণে হৃদয়ের কাছে
ধাতব রেলিঙে যাবতীয় অনুসর্গ ছেড়ে আসা সাপের চোখে আমি কাতরতা পাই
শহরে কিংবা গ্রামে, এই প্রাপ্তি আমাকে সুখ দেয়
আমার চেয়েও অধিক কাতর দুঃখের অবয়ব আমার স্বভাবজাত অহমিকায়
পরশ বুলায় সাপের মায়ায় সিঁড়িঘরে একটি বাগান তৈরি করি
বাগানে বিষের ফুল ফুটে উঠবে একদিন, এমন প্রত্যাশায় শিখে নিই যাবতীয় কৃষি
মাটির গন্ধে সিড়িঘরে সাপেরা ঘুমিয়ে পড়ে, অপরিচিত ডাকপিয়ন
চিলেকোঠার কড়া নেড়ে বিভিন্ন হলুদ খাম রেখে গেছে, প্রত্যাগত আহ্বান
মাটি থেকে দূরে ধাতবের কাছে ডাকে উন্মাদ স্বরে, মাদকের ঘ্রাণ
আমার মগজে ডাকপিয়নের নাম লিখে রাখে সকলে, স্মৃতির অধিক কালিতে
আঁচড়সমূহ ব্যাপ্ত করে দেয় আমাদের আকাশে মুখের দাগের জ্যামিতি
দূরত্বের নিয়মে আমি দৈনন্দিন পথ সিঁড়িঘরে জমা রাখি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন