শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১০

ঘুণ ও দুপুর

ঘুণের জীবন নিয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি। তাদের সাহিত্য ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ইতিহাসও তেমন সমৃদ্ধ নয়। এমনকি পরজীবী হিসেবেও, তারা আমাদের কাছে অনেকটাই অজানা। তাদের প্রকৃতি-প্রত্যয়, ক্রিয়া ও অব্যয়, সমূহ সমূহ বিদ্যা!


যেভাবে খুব সন্তর্পণে এক ঘুণচলন মগজের কোষে শুরু হয়। ডাক্তারবিদ যা বললেন, সেটা ছোটখাটো রসায়ন। দুইপাতা পড়লেই জানা যায় আমার মগজের কোন কোন কোণে বেঁধে গেছে রণকৌশলে মত্ত দুই বাহিনীর- নেতা ও নেত্রীর। ঘুণের কাজ তবু কেটে কেটে ছবিগুলোর ছাই জমানো, তুষ জমানো। নিরীহ!


মগজে সেগুলো জমা হলে পরে, ডাক্তারবিদের জবাব থাকে না। সেখানে যাবতীয় সম্পত্তি, স্থাবর এবং অস্থাবর, নিখোঁজ হতে থাকে। ফাঁকা হতে থাকে তামাদি দলিল- মন হারানোর সকাল, স্মৃতিভ্রষ্টের আকাল, প্রিয় গীত ও ক্রন্দন! ঘুণের কাজ বড়ো সুচারু। ডাক্তারের সূঁচের ভেতরে আমার মগজের এক টুকরো সরসর সাপের বিষের মতো উঠে আসে। গোল সিরিঞ্জে জমা পড়ে বিবিধ পীতঃ!


পীতাভ দুপুরগুলো এই জনপদ থেকে ক্লিনিকে কুমারীর জরায়ুতে আটকে গেছে। সেখানে ভ্রূণের মগজে ঘুণের মতোই, দুপুর বাড়ে। আহঃ মাইটোসিস!






------------------------------
উৎসর্গঃ আকাশচুরি অথবা তারিক স্বপন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন