আপনার শরীরের ভাঁজের মতোই পরতে পরতে দ্বিমাত্রিকতা এখানে। ধীরে আসুন, সন্দেহে আসুন, অবশ্যই সতর্কিত অবস্থানে
কতোকিছুই তো হারিয়ে ফেলি,
অনায়াস দক্ষতায়।
কতোদিন হয়ে গেছে,
আমি হারিয়ে যাওয়া দ্রব্য আর
দ্রব্যমূল্যের লিস্টিখানাও হারিয়েছি।
তারপর আবার নতুন লিস্টির উদ্যমে
শুরুতেই লেখেছি গত-লিস্টের নামটি।
তার নিচে জ্বলজ্বল করছে
অধুনালুপ্ত দুখের বালিশ আর প্রচণ্ড বিষাদ!
তোমার মুখের রেখায় আজ তিনটে চুল এসে পড়লো,
চকিত হুটোপুটি খেললো
নোনা-মেঘ-ঘোলা-রোদ।
রূপকের আজন্ম শোধ।
তারপর মেঘের পালকে
উড়ে গেলো বিবর্ণ শৈত্য-
এক ঝাঁক অতিথি পাখির ল্যাজে ঝুলে বেখেয়াল যুগ্মঘুম।
আজকের ডায়েরিতে
(কী চমৎকার! দেখো আমি আবারও ডায়েরি-মজ্জায় মজে গেছি!)
অবলীলায় তোমার চোখের পাঁপড়ি দুটো সেঁধিয়ে গেলো।
এতো গভীরে যে আমি আর সেগুলো খুঁজেই পেলাম না।
দৈনন্দিন ভাঁজে হারিয়ে গেলো মদির কালো পাঁপড়ি।
ফেব্রুয়ারি কি মার্চের দশ-বারো তারিখে হয়তো টুপ করে
ফিরে আসবে তারা!
কতোকিছুই তো হারিয়ে ফেলি...
রূপকথার বই খুললেই দেখি
ভেতর থেকে
রাজা ও রাণীদের হাড় ঝুলছে,
এই জনপদে
কোনো রাজা নেই, মন্ত্রি-পেয়াদাগণ
ধীরে ধীরে
বেতনভাতা হারিয়ে ঠকঠক কাঁপছে
বৈশ্বিক উষ্ণতায়;
নাকি ভয়ে? নাকি অযথা শঙ্কায়?
রাজকন্যাদের রূপ ও কমনীয়তা খুলে নিয়ে
গেছে কোটালপুত্রের ক্রুর-পেশল-মুঠি। তাদের
দাঁতের ভেতরে রাজকন্যার চুল ও ত্বক,
মুখ ও চোখের টুকরো টুকরো গেঁথে আছে,
লেগে আছে। বড়ো নগ্ন সুন্দর সেইসব
অপরূপকথা ছায়াচিত্র!
এই শহর যতোই সুউচ্চে চুম্বন কাতর শীৎকারে উঠে যাচ্ছে
বিশ-তিরিশ-চল্লিশ-পঞ্চাশ তলা, খোপ খোপ বহুতল প্রাসাদোপম
উচ্চতায়। ততোই মেঘদল নেমে আসছে, নুয়ে আসছে
আমার ভ্রান্তিবোধে ধরা পড়ে চিল ও শকুনেরা এখন
ঠোঁট বাঁকালেই টপাটপ আমাদের পুতুলের মতো ঠুকরে ফেলবে!
তাই আমরা মাথা নুয়ে চলি, ঝুঁকে ঝুঁকে চলি, পারলে মাটিতে
মিশে ও রাস্তায় শুয়ে চলতে পারলেই স্বস্তি পাই। উপরের দালান
আমাদের পেটের ভেতরে উদ্ভিদের শেকড় ঢুকিয়ে দিচ্ছে খুব!
রোজ এক প্রস্থ শেকড় আমাদের জন্ম-নাভিমূলে ঢুকে যায়, হায়
আমরা নির্ঘাৎ শিশ্নপ্রবেশিউন্মূল আনন্দ পাই!
ভবনের দর্শনকাম জমে জমে মেঘে উঠে যায়- মেঘদল
বয়ে চলে থরথর পশুবোধ ও কোমল ধবল অমল রেতঃ
এই শীতে মৃতরোদের নিঃশ্বাসের জন্যে আমাদের শোকবার্তার পাতাগুলো ভরে উঠবে।
মেঘেরা নিশ্চল।
আমরা জমে যাওয়া বাসস্টপে অনন্ত অপেক্ষায় হঠাৎ মুখ তুলে দেখি-
উপরে, অনেক উপরে (অথবা চোখের পাতার কাছেই)
একগুচ্ছ শাদা হাড় ও কিছু কিছু শরীর ঝুলে আছে।
কালো শরীরগুলো প্রবল শীতার্ত গ্লোবালায়নে
শাদা হয়ে গেছে। নির্দোষ প্রশ্নঃ
ওরা কী মাখে?
ওরা কী খায়?
মানে, ওরা কী খেয়েছিলো?
ঝুলে ঝুলে কেনো তারা নির্বাক এমন?
আমাদের বাস আসে না।
ভীড় ভীড় রাস্তায় একটা স্টপেজ লাইট জ্বলতেই থাকে। জ্বলতেই থাকে।
কতোকিছুই তো হারিয়ে ফেলি,
অনায়াস দক্ষতায়।
কতোদিন হয়ে গেছে,
আমি হারিয়ে যাওয়া দ্রব্য আর
দ্রব্যমূল্যের লিস্টিখানাও হারিয়েছি।
তারপর আবার নতুন লিস্টির উদ্যমে
শুরুতেই লেখেছি গত-লিস্টের নামটি।
তার নিচে জ্বলজ্বল করছে
অধুনালুপ্ত দুখের বালিশ আর প্রচণ্ড বিষাদ!
তোমার মুখের রেখায় আজ তিনটে চুল এসে পড়লো,
চকিত হুটোপুটি খেললো
নোনা-মেঘ-ঘোলা-রোদ।
রূপকের আজন্ম শোধ।
তারপর মেঘের পালকে
উড়ে গেলো বিবর্ণ শৈত্য-
এক ঝাঁক অতিথি পাখির ল্যাজে ঝুলে বেখেয়াল যুগ্মঘুম।
আজকের ডায়েরিতে
(কী চমৎকার! দেখো আমি আবারও ডায়েরি-মজ্জায় মজে গেছি!)
অবলীলায় তোমার চোখের পাঁপড়ি দুটো সেঁধিয়ে গেলো।
এতো গভীরে যে আমি আর সেগুলো খুঁজেই পেলাম না।
দৈনন্দিন ভাঁজে হারিয়ে গেলো মদির কালো পাঁপড়ি।
ফেব্রুয়ারি কি মার্চের দশ-বারো তারিখে হয়তো টুপ করে
ফিরে আসবে তারা!
কতোকিছুই তো হারিয়ে ফেলি...
রূপকথার বই খুললেই দেখি
ভেতর থেকে
রাজা ও রাণীদের হাড় ঝুলছে,
এই জনপদে
কোনো রাজা নেই, মন্ত্রি-পেয়াদাগণ
ধীরে ধীরে
বেতনভাতা হারিয়ে ঠকঠক কাঁপছে
বৈশ্বিক উষ্ণতায়;
নাকি ভয়ে? নাকি অযথা শঙ্কায়?
রাজকন্যাদের রূপ ও কমনীয়তা খুলে নিয়ে
গেছে কোটালপুত্রের ক্রুর-পেশল-মুঠি। তাদের
দাঁতের ভেতরে রাজকন্যার চুল ও ত্বক,
মুখ ও চোখের টুকরো টুকরো গেঁথে আছে,
লেগে আছে। বড়ো নগ্ন সুন্দর সেইসব
অপরূপকথা ছায়াচিত্র!
এই শহর যতোই সুউচ্চে চুম্বন কাতর শীৎকারে উঠে যাচ্ছে
বিশ-তিরিশ-চল্লিশ-পঞ্চাশ তলা, খোপ খোপ বহুতল প্রাসাদোপম
উচ্চতায়। ততোই মেঘদল নেমে আসছে, নুয়ে আসছে
আমার ভ্রান্তিবোধে ধরা পড়ে চিল ও শকুনেরা এখন
ঠোঁট বাঁকালেই টপাটপ আমাদের পুতুলের মতো ঠুকরে ফেলবে!
তাই আমরা মাথা নুয়ে চলি, ঝুঁকে ঝুঁকে চলি, পারলে মাটিতে
মিশে ও রাস্তায় শুয়ে চলতে পারলেই স্বস্তি পাই। উপরের দালান
আমাদের পেটের ভেতরে উদ্ভিদের শেকড় ঢুকিয়ে দিচ্ছে খুব!
রোজ এক প্রস্থ শেকড় আমাদের জন্ম-নাভিমূলে ঢুকে যায়, হায়
আমরা নির্ঘাৎ শিশ্নপ্রবেশিউন্মূল আনন্দ পাই!
ভবনের দর্শনকাম জমে জমে মেঘে উঠে যায়- মেঘদল
বয়ে চলে থরথর পশুবোধ ও কোমল ধবল অমল রেতঃ
এই শীতে মৃতরোদের নিঃশ্বাসের জন্যে আমাদের শোকবার্তার পাতাগুলো ভরে উঠবে।
মেঘেরা নিশ্চল।
আমরা জমে যাওয়া বাসস্টপে অনন্ত অপেক্ষায় হঠাৎ মুখ তুলে দেখি-
উপরে, অনেক উপরে (অথবা চোখের পাতার কাছেই)
একগুচ্ছ শাদা হাড় ও কিছু কিছু শরীর ঝুলে আছে।
কালো শরীরগুলো প্রবল শীতার্ত গ্লোবালায়নে
শাদা হয়ে গেছে। নির্দোষ প্রশ্নঃ
ওরা কী মাখে?
ওরা কী খায়?
মানে, ওরা কী খেয়েছিলো?
ঝুলে ঝুলে কেনো তারা নির্বাক এমন?
আমাদের বাস আসে না।
ভীড় ভীড় রাস্তায় একটা স্টপেজ লাইট জ্বলতেই থাকে। জ্বলতেই থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন