সোমবার, ২৪ মে, ২০১০

ভোকাবুলারিহীন দিনপঞ্জি

যেসব দিনে আমি হারানো বিজ্ঞপ্তির ভেতর থেকে খুঁজে খুঁজে দেখি কোন পুরনো বিলুপ্তিকে পাওয়া গেলো নাকি, সেসব দিনে আমার বুক ভেঙে যায়। সেরকম দিন মাদকতাময় এবং প্রান্তিক, আমি সেইসব দিনে ভারসাম্য হারাই
দেখি মহেঞ্জোদারোর মতো বিক্ষিপ্ত পোড়ামাটির হৃৎপেশী। কোন কোন দিনে ভুলে যাই যেসব ঐতিহাসিক পরাজয়, সেগুলো দিনক্লান্তির খোপে লুকানো শ্বাস। তারপরে শীতল একটা ঘরে ঢুকে পড়ি, সেখানে নির্বোধ মুখেরা আমাকে চেনে না। দেয়ালে ইলেক্ট্রন ঘুরে বেড়ায়, আমি দেখতে পাই
বৈজ্ঞানিক কতো অসামান্য শিহরণে মাতাল হয়েছিলেন, শিভাস রিগাল তরঙ্গের চূড়ায় নাচছে একটা ফোটন- পাশে তুমি। তিনি দেখছেন ধীরে খুলছে পোশাক, পোশাকের নিচে খরা ও জরা। তুমি কোথাও নাই
দিনগ্রস্ত বৃষ্টি ও অন্যান্য উপষঙ্গ ঘুরে ফিরে আসে আমাদের ক্যালেন্ডারে। আমরা জানি এই খরাতে এয়ার কন্ডিশনিংয়ের ওপরে দাওয়াই নেই, নেই চূড়ান্ত কোন সত্য, সকলই পরিবর্তনোন্মুখ অশ্লীলতা- অযথাই
এই বর্ষণে ভেজামাটি ডাকে, পাশে সেই পুরনো বিজ্ঞপ্তি ভিজতে থাকে, ঝর্ণাকলমে গোটা গোটা হরফে লেখা কতোকিছু, হারিয়ে গিয়েছে যা, যারা, যেসব, যেগুলো। ধুয়ে যাচ্ছে সওব... নিরন্তর হারানোর খাতাটাও হারাই
তারপর রোদ উঠছে স্লো-মোশনে... ‍ঃ এগুলো সবই নির্জলা কন্ডিশনিং, আমার ও তোমার প্রাথমিক নিয়ম-মাফিক রাশান রুলেৎ। আমি সেই মুহূর্তে জেনে যাই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন