সোমবার, ৩ মে, ২০১০

দুই বোন


অনেক অনেক দিন আগে, এক দেশে দুই বোন বাস করতো। তারা দুজনে ছিলো যে একই ফুলের দুইটি কুঁড়ি; কিন্তু একজন ছিলো ভালো, আরেকজন খুব রগচটা। তাদের বাবার কোন চাকরি ছিলো না, তাই তারা দুই বোনে ঠিক করলো তারা কাজ করে টাকা উপার্জন করতে যাবে।
“আমি আগে যাই, দেখি কী করতে পারি,” ছোট মেয়েটা খুশি মনে বললো, “তারপরে যদি আমি কিছু পয়সা পাই, তাহলে তুমিও চলে এসো আপু।”
তারপর সে তার জামাকাপড় একটা বোঁচকায় বাঁধলো, সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কাজ খুঁজতে বের হলো। কিন্তু শহরের কেউই তাকে নিতে চাইলো না। কাজের খোঁজে মেয়েটি শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে চলে আসলো। পথে যেতে যেতে যেতে, একদিন তার পথে একটা বিরাট চুলা দেখতে পেলো। চুলাটার উপরে অনেকগুলো রুটি গনগন করে ভাজা হচ্ছিলো। মেয়েটি যখন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলো, তখন চুলার ওপর থেকে রুটিগুলো একসাথে চেঁচিয়ে উঠলোঃ
“ছোট্ট খুকি! ছোট্ট খুকি! আমাদের বাঁচাও! প্লিজ আমাদের বাঁচাও! সা-ত বছর ধরে আমাদের ভাজি করছে, কেউই আমাদের চুলা থেকে বের করছে না। আমরা তো পুড়েই গেলাম! তাড়াতাড়ি আমাদের বের করে নাও!”
মেয়েটা খুব দয়ালু ছিলো, তাই রুটিদের চিৎকারে তার খুব মায়া হলো। সে তার বোঁচকা নামিয়ে রেখে রুটিদের বের করে আনলো। তারপরে আবার রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে বললোঃ
“এবারে তোমরা একটু আরাম পাবে।”
আরো কিছুদূর যাবার পরে মেয়েটি দেখলো একটা গরু পাশে খালি বালতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গরুটা কাতরস্বরে মেয়েটিকে বললোঃ
“ছোট্ট খুকি! ছোট্ট খুকি! আমার দুধ দুইয়ে দাও! প্লিজ আমার দুধ দুইয়ে দাও! সা’ত বছর ধরে আমি অপেক্ষা করছি, কিন্তু কেউই আমার দুধ দুইয়ে দিচ্ছে না।”
তো, লক্ষ্মী মেয়েটি সেখানে থামলো, কাঁধ থেকে বোঁচকা নামিয়ে রেখে গরুটার দুধ দুইয়ে পাশের বালতিতে রাখলো, তারপরে যেতে যেতে বললোঃ
“এবারে তুমি একটু আরাম পাবে।”
আরো একটু পথ এগিয়ে মেয়েটার সাথে একটা আপেল গাছের দেখা হলো। গাছের ডালে ডালে থোকা থোকা আপেল ঝুলছে, ফলের ভারে তার ডালগুলো প্রায় ভাঙার উপক্রম! আপেল গাছটি মেয়েটিকে ডেকে বললোঃ
“ছোট্ট খুকি! ছোট্ট খুকি! আমার ডালগুলো ঝাঁকি দাও। ফলের ভারে আমি সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছি না!”
লক্ষ্মী মেয়েটি সেখানে থামলো, কাঁধ থেকে বোঁচকা নামিয়ে আপেল গাছের ডাল ধরে অনেক জোরে ঝাঁকুনি দিলো। সাথে সাথে সব আপেলগুলো ঝরে গেলো আর গাছটাও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারলো। মেয়েটি চলে যেতে যেতে বললোঃ
“এবারে তুমি একটু আরাম পাবে।”
তো, মেয়েটা গ্রামের পথ ধরে যাচ্ছে যাচ্ছে, একসময়ে সে এসে হাজির হলো এক বুড়ি ডাইনির বাড়ির সামনে। এই বুড়ি ডাইনির একটা কাজের মেয়ের দরকার ছিলো, বিনিময়ে তাকে বেতন দিবে। তাই মেয়েটি ঐ বাড়িতে থেমে বললো যে সে কাজ করতে চায়। বুড়ি বললো, তাকে ঘর ঝাড়ু দিতে হবে, বাসা পরিষ্কার করতে হবে, শীতের দিনে আগুন জ্বালাতে হবে। তবে ডাইনিটা বার বার নিষেধ করে দিলো যে আগুন জ্বালানোর সময়ে কোনমতেই চিমনির ভেতরে তাকানো যাবে না!
“যদি একবার তাকিয়েছো”, বুড়ি খ্যানখ্যানে গলায় বললো, “তবে তোমার মাথায় একটা জিনিস এসে পড়বে। এর পরিণতি একেবারেই ভালো হবে না!”
বেশ! মেয়েটা ঝাড়ু দেয়, ঘর মোছে, ধুলা ঝাড়ে, আগুন জ্বালায়, কিন্তু বুড়ি তাকে কোনই বেতন দেয় না। অনেকদিন এভাবে কেটে গেলো। এখন, মেয়েটা বাসায় ফিরতে চায়। বুড়ি ডাইনির বাড়িতে কাজ করতে তার একটুও ভালো লাগছিলো না। কারণ এই ডাইনি রাতের খাবারে বাবুদের ধরে ধরে সিদ্ধ করে খেতো, তারপরে তাদের হাড়গুলো বাগানে পাথরের নিচে পুঁতে রাখতো! কিন্তু মেয়েটা খালি হাতে বাসায় ফিরতে চাচ্ছিলো না, তাই সে আরো কিছুদিন ঘরের কাজকর্ম করলো। এরকমই একদিন হঠাৎ হলো কি, আগুনের চুলা পরিষ্কার করার মেয়েটি ময়লার সাথে পা বেঁধে পড়ে গেলো, আর বেখেয়ালে চিমনির ভেতর দিয়ে উপরে তাকালো। আর যায় কোথায়! এক বিরাট বস্তাভর্তি স্বর্ণমুদ্রা ধপ করে তার কোলে এসে পড়লো!
সেইসময়ে ডাইনিটা ছিলো বাড়ির বাইরে কাজে। তাই মেয়েটি ভাবলো, নিজের বাসায় পালিয়ে যাওয়ার এখনই সুযোগ। সে তাড়াতাড়ি জামাকাপড় বেঁধে নিয়ে বস্তা কাঁধে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। কিন্তু একটু এগুতে না এগুতেই সে টের পেলো যে ডাইনিবুড়ি ঝাড়ু নিয়ে তার দিকে তেড়ে আসছে। পড়িমড়ি করে মেয়েটি ছুট লাগালো। এক ছুটে সামনে এগিয়ে দেখে সেই আপেল গাছটা দাঁড়িয়ে আছে। সে দৌড়ে ওটার কাছে গিয়ে বললোঃ
“আপেল গাছ! আপেল গাছ! লুকিয়ে আমায় রাখো
ডাইনি বুড়ি আমায় যেন ধরতে পারে নাকো
আমায় পেলে হাড়গুলো সে আস্ত ভেজে খাবে
বাগানের ঐ পাথর তলে আমায় চাপা দিবে!”
তখন আপেলগাছ বললো, “অবশ্যই! তুমি আমার কতোবড়ো উপকার করেছিলে, আর উপকারীর উপকার করাটাই উচিত কাজ!”
তাই আপেল গাছ তাকে নিজের ডালপালার ফাঁকে লুকিয়ে রাখলো। ডাইনি সেখান দিয়ে যাবার সময়ে বললোঃ
“ওরে আমার আপেল গাছ! ওরে আমার গাছ!
বদমাশ এক পিচ্চি মেয়ে দেখেছিস নাকি আজ?
এদিক দিয়েই গেছে সে যে ঝোলা কাঁধে নিয়ে
ভর্তি ঝোলা আমার যতো স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে!”
আপেল গাছ বললোঃ
“না গো বুড়ি, রয়েছি আমি পথের পানে চেয়ে
সাত বছরে এইদিকেতে যায়নি কোন মেয়ে”
তখন ডাইনি বুড়ি অন্যদিকে ঝাড়ু বাগিয়ে চলে গেলো। আর মেয়েটি গাছ থেকে নেমে আপেল গাছকে অনেকবার ধন্যবাদ দিলো। তারপরে আবার বাসার পথে রওনা হলো। কিন্তু যেই না সে গরুটার কাছে পৌঁছেছে, কোথা থেকে ডাইনির আসার আওয়াজ পাওয়া গেলো। মেয়েটা তাড়াতাড়ি গরুর কাছে গিয়ে বললোঃ
“শুনছো গরু! এই যে গরু! লুকিয়ে আমায় রাখো
ডাইনি বুড়ি আমায় যেন ধরতে পারে নাকো
আমায় পেলে হাড়গুলো সে আস্ত ভেজে খাবে
বাগানের ঐ পাথর তলে আমায় চাপা দিবে!”
তখন গরু বললো, “অবশ্যই! তুমিই না আমার দুধ দুইয়ে কতোবড়ো উপকার করেছিলে? আমার পিছনে লুকিয়ে থাকো, কেউ তোমার কিচ্ছু করতে পারবে না!”
একটু পরেই ডাইনি উড়ে এলো, আর গরুটাকে জিজ্ঞাসা করলোঃ
“ওরে গরু! শোন ফেলে সব কাজ
বদমাশ এক পিচ্চি মেয়ে দেখেছিস নাকি আজ?
এদিক দিয়েই গেছে সে যে ঝোলা কাঁধে নিয়ে
ভর্তি ঝোলা আমার যতো স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে!”
গরুটা খুব নরম স্বরে বললোঃ
“না গো বুড়ি, রয়েছি আমি পথের পানে চেয়ে
সাত বছরে এইদিকেতে যায়নি কোন মেয়ে”
তখন বুড়িটা আবারও ভুল পথে চলে গেলো, আর মেয়েটা আবার নিশ্চিন্ত মনে নিজের বাসার দিকে রওনা হলো। কিন্তু যেই না সে চুলাটার কাছে পৌঁছেছে, আবারও কোথা থেকে বুড়ি এসে হাজির। মেয়েটা তাড়াতাড়ি চুলার কাছে গিয়ে কাতরকণ্ঠে বললোঃ
“শুনছো চুলো! এই যে চুলো! লুকিয়ে আমায় রাখো
ডাইনি বুড়ি আমায় যেন ধরতে পারে নাকো
আমায় পেলে হাড়গুলো সে আস্ত ভেজে খাবে
বাগানের ঐ পাথর তলে আমায় চাপা দিবে!”
তখন চুলাটা গমগমে স্বরে বলো, “হায়! এখন কি করি, আমার ভেতরে তো অনেকগুলো রুটি এখন ভাজা হচ্ছে, তোমাকে রাখার জায়গা নেই। তুমি এক কাজ করো, ঐ যে রুটিওয়ালা বসে আছে, তাকে গিয়ে বলো।”
মেয়েটা তাড়াতাড়ি রুটিওয়ালার কাছে গিয়ে বলতেই রুটিওয়ালা বললো, “অবশ্যই! তুমি না থাকলে আমার আগের সেই রুটিগুলো সবই পুড়ে যেতো। তুমি শিগগিরই আমার ঘরের ভেতর গিয়ে লুকাও। আমি বুড়িকে সামলাচ্ছি।”
মেয়েটা কোনমতে রুটিওয়ালার ঘরের ভেতরে লুকিয়েছে, আর তখনই ডাইনি এসে হাজির। খ্যানখ্যানে বুড়ি রেগেমেগে বললোঃ
“ঐ বেটা! ঐ রুটিওয়ালা ব্যাটা, শোন দেখি
বদমাশ এক পিচ্চি মেয়ে আজ দেখেছিস নাকি?
এদিক দিয়েই গেছে সে যে ঝোলা কাঁধে নিয়ে
ভর্তি ঝোলা আমার যতো স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে!”
রুটিওয়ালা বললো, “বুড়ি, তুমি ঐ চুলার মধ্যে দেখো দিকি। মেয়েটা থাকলেও থাকতে পারে।” তখন বুড়ি ঝাড়ু থেকে নেমে চুলার ভেতর উঁকিঝুঁকি মারছে, দেখে কেউ নেই। রুটিওয়ালা বললো, “আরেকটু ভিতরে ঢুকে দেখো, বুড়ি”, আর যেই না ডাইনি চুলার ভেতরে গেছে, ---
ধড়াম!----
রুটিওয়ালা তার মুখের ওপরে চুলার দরজা দিলো লাগিয়ে। আর বুড়ি চুলার ভেতরে পুড়ে কয়লা হয়ে গেলো। যতোক্ষণে সে চুলা থেকে বের হয়েছে, পুরো মুচমুচে ভাজা খয়েরি হয়ে গেছে। তখন তার বাড়ি ফিরে সারা গায়ে ক্রিম মাখা ছাড়া আর কোন উপায়ই নাই!
আর মেয়েটা? দয়ালু লক্ষ্মী মেয়েটা বস্তাভর্তি স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে বাসায় ফিরে আসলো।
এখন তার বদমেজাজী বড়ো বোন সব দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছাই! সেও তখন ঠিক করলো যে এমন এক বস্তা স্বর্ণমুদ্রা না আনলে কিছুতেই চলছে না। তাই সে জামাকাপড় বোঁচকা বেঁধে তার বোনের মতোই পথে বের হলো কাজের খোঁজে। সেই একই রাস্তা ধরে যেতে যেতে বড়ো বোনটিও একই রুটির চুলার কাছে এসে হাজির হলো। চুলার ওপর থাকা রুটিগুলো আগের মতোই বোনটাকে বললো, তাদেরকে নামিয়ে নিতে, তারা সাত বছর ধরে ভাজি হচ্ছে, আরেকটু সময় থাকলেই তারা পুড়ে যাবে। মেয়েটা নাক সিঁটকে বললোঃ
"খুব মজা তাই না? তোমাদের নামাতে গিয়ে আমি আমার আঙুল পুড়াই আর কি! খেয়ে কাজ নেই আমার। হুঁহ!”
এরপর সে আবারও একটু এগিয়ে গরুটার দেখা পেলো। কিন্তু যখন গরুটা বললোঃ
“ছোট্ট খুকি! ছোট্ট খুকি! আমার দুধ দুইয়ে দাও! প্লিজ আমার দুধ দুইয়ে দাও! সা’ত বছর ধরে আমি অপেক্ষা করছি, কিন্তু কেউই আমার দুধ দুইয়ে দিচ্ছে না।”
মেয়েটা অবজ্ঞার হাসি হেসে বললো, “তুমি আরো সাত বছর অপেক্ষা করলেও আমার কিছু যায় আসে না। আমি তোমার কাজ করে দিতে পারবো না।” এটা বলে সে এগিয়ে গেলো। আরো একটু দূর যাবার পরে তার সামনে পড়লো সেই আপেল গাছটা। আবারও তাতে আপেল ধরেছে, এবং সে নুয়ে পড়ে কষ্ট পাচ্ছে। যখন সে মেয়েটাকে অনুরোধ করলো তার ডাল ধরে ঝাঁকি দিতে, তখন মেয়েটা কেবল খিল খিল করে হাসলো। আর একটা পাকা আপেল ছিঁড়ে নিয়ে খেতে খেতে চলে গেলো। যাওয়ার সময় বললোঃ
“ আমার একটা আপেলেই হবে। বাকিগুলো তুমিই রেখে দাও।” এভাবে আপেল খেতে খেতে সে অবশেষে ডাইনি বুড়ির বাসায় এসে হাজির হলো।
এতোদিনে বুড়ির গায়ের পোড়া দাগগুলো ঠিক হয়েছে। কিন্তু মনের ঝাল মেটেনি একটুও। কাজের মেয়েদের উপরে সে ভয়ংকর রেগে থাকে। আর এক মুহূর্তের জন্যেও ঘর ছেড়ে বের হয় না। এজন্যে বদমেজাজি মেয়েটাও আর সুযোগ পাচ্ছে না চিমনির ভেতরে তাকানোর। তাকে বুড়ি খুব খাটাচ্ছে, রোজ ঘর ঝাড়ু দিতে হয়, মুছতে হয়, আগুন জ্বালাতে হয়। কাজ করতে করতে সে একদম শেষ!
কিন্তু একদিন হুট করেই সুযোগ এলো। ডাইনিটা রাতে খাওয়া বাচ্চাদের হাড়গুলো যেই পুঁততে গেছে, সেই সুযোগে মেয়েটা চিমনির ভেতরে তাকালো। আর সাথে সাথেই, এক বস্তা স্বর্ণমুদ্রা!
তো, মেয়েটা খুব তাড়াতাড়িই ডাইনির বাড়ি ছেড়ে পালালো। দৌড়াতে দৌড়াতে আপেল গাছের কাছে এসে শুনতে পেলো ডাইনি তাড়া করে আসছে। তার ছোট বোনের মতো এই মেয়েটাও আপেল গাছকে মিনতি করে বললোঃ
“আপেল গাছ! আপেল গাছ! লুকিয়ে আমায় রাখো
ডাইনি বুড়ি আমায় যেন ধরতে পারে নাকো
আমায় পেলে হাড়গুলো সে আস্ত ভেজে খাবে
বাগানের ঐ পাথর তলে আমায় চাপা দিবে!”
কিন্তু আপেল গাছ উত্তর দিলোঃ
“আমার এখানে কোন জায়গা নাই। আপেলে ঠেসে আছি। তুমি রাস্তা মাপো।”
মেয়েটা নিরুপায় হয়ে আবার দৌড় লাগালো। ডাইনি বুড়ি আপেল গাছের কাছে এসে আগের মতো জিজ্ঞাসা করলোঃ
“ওরে আমার আপেল গাছ! ওরে আমার গাছ!
বদমাশ এক পিচ্চি মেয়ে দেখেছিস নাকি আজ?
এদিক দিয়েই গেছে সে যে ঝোলা কাঁধে নিয়ে
ভর্তি ঝোলা আমার যতো স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে!”
আপেল গাছ উত্তর দিলোঃ
“দেখছি বুড়ি দেখছি মেয়েটারে
এ পথে গেলে পাইবা তুমি তারে”
তারপর ডাইনি বুড়ি সেই পথে তাড়া করে গিয়ে একসময় মেয়েটাকে ধরেই ফেললো। স্বর্ণমুদ্রা কেড়ে নিয়ে খুব মার মারলো। আর দূর দূর করে তাকে তাড়িয়ে দিলো, কোন বেতন, টাকা পয়সা না দিয়েই!
===========
।।আমার গল্পটি ফুরোলো
নটে গাছটি মুড়োলো।।

মূল গল্প

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন