মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৮

জন্মজ


ফিনাইলভেজা টাইলসে কিছু জনমক্লেদ-
জিনোমভেদ জমে থাকে
আগে দেখা কাঠের বেঞ্চ ভেঙে
প্লাসটিক চেয়ারেরা মোড়লের মতো
গ্যাঁট হয়ে বসে আছে।


চারদিকে মলিনাভ সবুজ আর ভয়ার্ত নীল ওয়াড়-
ভীড় করে আসে ঝিলিকদেয়া সাদা অ্যাপ্রন-
তাতে শোক-তাপসমূহ
অ্যান্টিবায়োটিকের মতো মিশে থাকে
অথবা শীতলতায় জমে বরফ হয়।


হিমাঙ্কে রেখে দেয়া হলে জঠরত্যাগী শিশুর ত্বকে হুল ফুটবে জেনেও
আমরা অণুজীব সন্দেহে জর্জর হয়ে নিরুপায়ে মরি।
জন্ম খুব প্রথাগতরূপে নোংরা হলেও
আমরা মৃত্যুকে বীভৎস ভাবি!


শীতল হতে হতে আমি অপেক্ষায় দেখি চারপাশে
তুষারকণারা জমা হতে থাকে,
জানলায়-দোতলায়-বাথরুমে-আস্তিনে।
এর মাঝে শিশুউৎসব জমলে মেলার হাটে
প্রজাপতি পাখা ঝাপটে হারিয়ে যাবেই,
মাতাটিকে ভালবাসতে কোনও শ্রান্তি জমে না,
কেমন ফুলে উঠেই
চামড়ায় এক টানটান সুখ ধরে আছে সে!


ধাঁধালো আলোর ছুরিতে ত্বক কেটে গেলে রক্তাভ শ্লেষমাখা
মাংশপিণ্ড জেগে উঠে সচকিত হয়।
হিম ছুঁয়ে দিলে খুব কোমল স্বরে,
হঠাৎ প্রস্রবণে ঢেউ তুলে নৌকা চিরে যায়।
জন্ম খুব প্রথাগতরূপে নোংরা হলেও
আমরা মৃত্যুকে বীভৎস ভাবি!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন