বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৮

শ্লেটমুখী ও অন্যান্য

শ্লেটমুখী
অরীয় বেণিদ্বয়ের শামুক-দোলন, সরে
এপাশে ওপাশে প্রতিসম বিস্তার, ভেঙে
বেণিদ্বয় দুলে ওঠে, উঠতেই থাকে,
ঘনোপর্দায় ছায়াগুলো শরীর ঢাকছে, তাই
বেণিদ্বয় সচকিতে
শ্লেটে লেখা এলোমেলো আঁকিবুকি মুছে দেয়।






ঋতুযাপন
মাতৃকোষে জলীয় কিছু ভালোবাসা জমে থাকতো
আসাযাওয়া-জীবন জুড়ে মেলে থাকা
ব্যাপিত শরৎ-
গুমোট ভাদ্রে ভিজে ফেরা ক্যাম্বিস-ব্যাগ,
কিংবা হলদে হারানো ছাতাটি,
সকলেই জমে জমে অপত্য বনে যায়।






অনন্যার আঁচল
নিহত হবার আগে অনন্যা যা দেখছিলো
গ্লু গড়িয়ে সেছবিটা ঘোলা হয়ে গেলে
অনন্যার আঁচল মুক্ত হতে পারে।
জানালার খোলা রোদ এসে শীতলার্ত-
অনন্যাকে ছুঁয়ে বেহাগী চর বসে থাকবে।






রোডোডেনড্রন
ইনসেটের প্রয়োজন ছবিজুড়ে তোমাকে
উৎক্ষিপ্ত করে বিশেষ করার জন্যে-
সেখানে ভূমি-জমিনে সার সার মুখ-চোয়াল-চুল
ক্ষুদ্ধ চোখ আর ময়লা শার্টেরা
সহসাই রোদগন্ধী রোডোডেনড্রন হয়ে যায়।
সাদা কাগজে তখন সহবাসী মৌতাত!






কাঁটাগুচ্ছ ও বিড়াল
বিড়ালটি শুঁকে শুঁকে ঠিকই কাঁটাগুচ্ছের
রসনা টেনে নেবে-
আমি কিঞ্চিত উদগ্রীব, তার চলনোদ্যত
নখ, থাবা, রোম জুড়ে কেমন
অপ্রস্তুত বিকশিত ক্ষুধা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন