শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮

জোছনা, সেইরাতে তবুও পৌষ মেখেছিলো


চাঁদের সাথে আমার শত্রুতা বহুদিনের
জি থেকে এফ-শার্পে গেলেই
কুহকিনী নেমে এসে ঘাড়ে চেপে বসে,
আঙুল কেঁপে উঠে চোখে ঝাপসা হয় সুর।


ছায়া-ইউক্যালিপ্টাস তবু ফিরে আসবেই
আমি ধুলো ঝেড়ে চারকোল তুলে নিই
তুমি কোলে মাথা রেখে
চুলের নদী বিছিয়ে শুয়ে পড়ো।


ঘাসেদের খুঁজে পেলে দেখি
শরীরপ্রান্তে সুতো ছেড়ে তারাও অবশেষে
খুব কোমল ঘুমে ডুবে আছে-
অবসাদী ঘ্রাণে, মাতে আমার উঠান!


জোছনাও বিরহে মাতেঃ কোন আদিম পৌষ চলে যাবার সময়ে তাকে কথা দিয়েছিলো ফিরে এসে হাতে তুলে দেবে মুক্তো-শিশির, সে আশায় বসে থেকে থেকে আমার কপালে টোকা দেয়, আমি মুখ তুলে দেখি চোখে টলটলে শিশিরের মতোই একফোঁটা জল নিয়ে জোছনা অবিকল- বসে আছে; পেছনে আলগোছে পৌষ হেসে দূরে সরে গেলে আমি অবলীলায় বুঝে যাইঃ এই স্বপ্নঘোর-ঘোর-রাত প্রবল মিথ্যে!
... ...
...আমার স্থানে শুধু জলরহিত অন্ধকার কিছুক্ষণ জমে থেকে
ভোরের আলোয় সরে যায়।
পাশে পড়ে থাকে বাদামী রূপসী জি-শার্প!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন