মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০০৮

ইউক্যালিপ্টাসের মুখ

আমি যখন কুয়াশা-শৈশব-মেশানো-ভোরে দৌড়াতাম পিচে-ঢালা-পথে ঘুরে ঘুরে অনবরত;
বারবার তোমাকে টপকে যেতাম আলতো-আঙুল-গীটারে-বোলানোর মত পদবিক্ষেপে
সেখানে দাঁড়ানো ঊর্ধ্বমেঘ-ছোঁয়ায়-সঙ্গমেচ্ছু ইউক্যালিপ্টাসের শরীর, ঋজুত্ব দেখে
লয়-ভাঙা-পা পড়তো পিচ আর আলকাতরা-মেশানো-শতবর্ষী বুড়ো রাস্তায়।
দিনের আলো কতবার বদলে দিত ওর শরীরের চাল-ধোয়া-ঘোলাটে-সাদা রঙ;
আমি সারাদিন ওরপাশে ঘুরে ঘুরে পা মেপে মেপে চকিতে আঁক কষতাম, উপরে
তার শরীর-ছাড়ানো-মুখ দেখার তীব্র, তুমুল, নাড়িছেঁড়া-বাঁধনের মত ইচ্ছারা
বিতর্কিত-বেশ্যা-ছেনাল মেঘেদের সাথে কূট-কুরুক্ষেত্রে মেতেছে শকুনির মতোই!
আমাকে রেখে ইউক্যালিপ্টাস- কত দূরে চলে গেছে আদিগন্ত-পাড়ি-পার, আমি
শৈশবে-কৈশোরে খুঁজতে গিয়ে বাদামী-যুবতী-মাদক-শরীর খুঁড়েও তাকে পাই নাই!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন