শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০০৮

জীবনানন্দ দ্যাকলে বড় খুশি হইতো রে!


আজ আমি ধাক্কা খেয়ে কিছু সময় পড়ে রইলাম,
......নুড়ি
............পাথর
....................গদ্য
...........................চপ্পল
সরে যেতে যেতে থেমে থাকলোইবা-
এক গড়ানে সটান হলেই দেখি রূপায়িত ঘুঙুর
"জীবনানন্দ দ্যাকলে বড় খুশি হইতো রে!"
গাঁকগাঁক করে বিরক্ত যুবক-হামার চলে গেলে
মনে পড়ে ট্রাম-বিকট-আওয়াজ-বিকেল পোড়ানো অবসাদ।


উবু বসে চরাচর ক্ষেতখামার ভেসে এলে
আমি এলোপাথাড়ি হাত বাড়াই,
অন্ধ-উদ্বেগ! ঘাসেরা নেই নেই,
শক্ত পিচ-গোলানো রাজপথ বড় মোলায়েম বিছানা-
হয়ে আমাকে ডাকতে থাকে।
জীবনানন্দ ভেসে যাবার আগে বিব্রত ঘাড় ঘুরিয়ে দ্যাখেন,
আমি মুখ তুলে দালানের ছাদের পাশে
দিকভ্রান্ত মেঘের সুতো হাতে বেঁধে নিতে ব্যস্ত।


ধুলো ঝেড়ে পা বাড়ালে ফের মনে পড়ে
ট্রামের আলোয় কোন সরণী গড়ে উঠবে?
বস্তুত দ্বন্দ্বপ্রেমী চিন্তারা ছিটকে দেউড়ি পেরিয়ে যেতে থাকে।


মৃত্যু তখনও দ' ভেঙে আমার পাশে বসেই ছিল বসেই ছিল বসেই ছিল!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন