বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০০৮

ছিন্নস্বর


সিলুয়েটে করতল জমে উঠলে একটা বিছানা ধীরে খুব ধীরে রওয়ানা দিল আস্তাকুঁড়ে
যেখানে প্রতিদিনরাত বার্ধক্য-উপনীতা শুকুতে দেয় কুমড়োর বড়া; ঐ বড়াভাজা মাদুরের
পাশে পিঁপড়ের সারি লাইনে জমাট বিক্ষোভ ফেলে একটা চিকন জলধারা ক্রমশ শৃঙ্খলিত
হতে থাকলে মোলায়েম শকট এসে তার চেহারায় অদ্ভুত রঙ এঁকে দ্যায়।


কাছেই সিঙ্ক্রোনাইজ্‌ড ঘুমের বাসর থেকে জেগে উঠতে পারে কালো কুকুরটি- এহেন
ভাবনা ঠাস্‌ করে বেলুন ফুটে মিলিয়ে যাবার আগে নিঃসরিত বায়ুত্যাগী জোছনা আমাকে
ঠ্যালা দিয়ে রমণে ঠেলে দিতে থাকে আর ভিখেরিপনায় পটু আমার ছোটভাই চেয়ারের
নিচে রাখা গলিত-ঘামসিক্ত তোয়ালে জড়িয়ে দিনকে দিন শুষ্ক হতে থাকে।


তুমি যখন উল্টো ঘুরে কাঁথায় মুখ গুঁজে আলোর বিপরীতে যাচ্ছিলে সেদিকে তাকিয়ে ঐ
পিঁপড়েগুলো অবাক হয়ে হা করে চেয়েছিলো, আর জীবন্ত গান সুর বিছিয়ে মেঝেতে
সরীসৃপ হয়ে জেনে গিয়েছিল কতটা ঢেউ ভাঙলে বালি ভিজিয়ে রক্ত মাটি তৈরি করতে
পারে, এরকম চিন্তায় বার্ধক্য-উপনীতা আমার রমণে বাধা দিতে জোছনার গলা টিপে ধরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন