শুক্রবার, ১২ জুন, ২০০৯

সুকন্যা সম্পর্কিত কর্মপন্থা

উপমান আর উপমিত সমাসের মাঝখানে পড়ে, কিঞ্চিৎ টানাহ্যাঁচড়ায় আমার সুকন্যাকে ভালো লেগে গেল। সুকন্যার চেহারাই সব, সেটাই দৃশ্যমান, ভালোলাগা তৈরির জন্যে সেটুকুই যথেষ্ট, এই উপসিদ্ধান্তে আসতে আমার সময় লাগে না; সুতরাং উপমান সমাসের নিকুচি করেই আমি সুকন্যার জন্যে আকুল-ব্যাকুল হয়ে উঠলাম, কুলকুল ঘামতে লাগলাম বিলকুল। এভাবেই সুকন্যার সাথে আমার প্রেমের শুরু হবে। আমরা দুর্দান্ত প্রেম শেষে হাঁপাতে হাঁপাতে লা--ল হয়ে উঠবো, কিংবা সে গোলাপি, আমি নীল হতে চাইবো। এই রংবেরঙের খেলাটাও পূর্ব নির্ধারিত শিডিউলে চালাতে আমাদের ভালোই লাগবে।

সুকন্যার জন্যে আমার অনেক প্ল্যানপ্রোগ্রাম ছিল, তবে সেগুলোকে যাচাই বাছাই করার প্রয়াস ছিল না। যেমন আমি চাইছি তাকে উল্টে বা পাল্টে শোকেসে রেখে দিতে, বা কাঠের ড্রয়ারের কোণে একটা মেঘ বানিয়ে বন্দী করে রাখতে, বা বালিশের ওয়াড়ের ভেতর পুরে রাখতে। এরকম আকাঙ্ক্ষাগুলো যথেষ্ট আশাবাদী, আমি বাস্তবায়নের পাঁচমুখী কর্মপন্থা রচনা করি। বার বার নোট নেই, কাটাকুটি ড্রাফটে সেগুলো নিখুঁত, নিটোল হয়ে ওঠে; সুসজ্জিত প্রেমপন্থা আমার! বাঁধিয়ে নিলে, ল্যামিনেটিঙয়ে বেশি খরচ হবে না হয়তো। সুকন্যার ত্বকের দামেই খরচ পুষিয়ে যাবে!


-১২.৬.৯

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন