মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০০৯

সেতু-চরিতঃ

একটি সেতু পেরোনোর জন্যে স্বতঃপ্রবৃত্ত ইচ্ছা বা অনুকূল জিঘাংসা ক্রমশই দানা বাঁধতে থাকে। সেতুটির নিচে সবুজ কর্কশ পানিতে নিস্তরঙ্গ সময়ঘড়ি আটকে থাকে এবং, গতবার পেরুতে পেরুতে সেটা থেমে গিয়েছিল, এই স্মৃতি আমাদেরকে একইসাথে উল্লসিত ও মথিত করে। সেতুটি কিছুটা বাঁকানো, উত্তল-


আমাদের মাঝে যাঁরা প্রথম এসেছেন, সেতু পেরুনোর শুভেচ্ছা আতরের মতো মেখে, চাপকান এবং পাঞ্জাবিসুলভ পোশাকে, তাঁরা ইতস্তত তাকাচ্ছেন। সহযাত্রী পরিচিত মুখ না দেখে তাঁরা অতিমাত্রায় নিরাশ কিংবা স্বচ্ছন্দ হয়ে ওঠেন। এমনকি আমার ভুলও হতে পারে, কিছুটা হতাশাও তাদের ভুরুর উত্তলতায় মিশে যায়-


সেতুর দেয়াল লাল লোহা, নরোম লোহা, ভিন্নত্বের লোহায় বাঁধানো। ঢোকার মুখে ফলকে পরিষ্কার লেখা আছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বুক চেতানো গৌরবাকাঙ্ক্ষা- "আমরাই নির্মাণে পারদর্শী, নিখুঁত এবং নিরলস।" এরকম দম্ভোক্তি আমাদের সাহস দেয়। নতুনেরাও হাসিমুখে পা বাড়ায়। পদতলে ধড়মড় করে ভেঙে যেতে থাকে নিগূঢ় বৈভব।




২.
সেতুর ওপারের বঙ্কিম শরীর পড়ে আছে,
শায়নের আলস্যে গভীর মদির চোখ
পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে চিরচিরে
রৌদ্রের ছুরিসজ্জা মেখে। আমরা সেতুর ওপার
ভাঙনের গন্ধে আকৃষ্ট হই।




***

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন