রবিবার, ২৮ জুন, ২০০৯

অপিয়াম


অপিয়াম বনে মিশে
ধীরে গহীনে ভীষণ গভীরে
আলোর মত আঁধারে
ক্রমশ ঘুরে ঘুরে অপিয়ামে
আমাদের চোখে রাত নামে
বাইরে রোদ্দুর
আদিম উন্মাতাল ভেষজ দুপুর
অজানা সুর রঙ মেশানো ভোর
সেইসব প্রথাগত ফুল
ফুলের সারিতে ঘুম
মুখস্থ দৃষ্টি, চোখ বা নূপুর।
অপিয়াম বনের ধারে আমরা পাঁচজন
মাথা গুনি
এদিক থেকে এক দুই তিন চার পাঁচ
ওদিক থেকেও এক হতে পাঁচ
হয়নি হিসেবে ভুল, হায়!
অপিয়াম বন ছেড়ে ঘুরে ওঠে
আকাশে বাতাসে মিশে মিশে
ঘাড়ের ওপারে বিদেশ
মর্ত্যের অপর স্বদেশ
গুঁড়ো গুঁড়ো চামড়া হাড়
বালকের বিস্ময় অপার
লাল ফুলের দাগ, নিদাঘ
বর্ষণ অবিরাম অপার অপার!
আহা, বিষাদ, গ্লানি-ক্ষমা
ক্ষমার পরেও কান্না জমা
চোখের ভাঁজে, পাঁপড়ি জুড়ে
রোদের ঝাঁজে যাচ্ছে পুড়ে
আঃ বিষণ্ণ রোদ, ঘোলা কাচ থেকে
ঠিকরে পড়ছে তার উদাম বুকে
আমাদের খোলা গায়ে, ঝরে
কোমল ঠোঁট, সুরের শাবল পড়ে
ধপাধপ গাঁইতির কোপে
নামিয়ে ফেলে যৌন চর্ম রোগ
আর বিলোল সম্ভোগ,
রেগে ওঠে চারজন আমার ওপর
ভাগ নেই পৃথিবীর তিনভাগ সাতভাগ
জল; অথবা স্থল।
লোহিতের পাশে চলে শ্বেত
শ্বেতের মাঝে খেলে রোদের ছায়া
ছায়ার ভেতরে কীট
শুককীট মূককীট ভ্রূণ
অনুচক্রিকা চক্রে পড়ে
ক্রমশ ও পুনঃ পুনঃ,
আমি হেসে ফেলি অপিয়াম!
তরল ঘুম উথাল-পাথাল
নালীজুড়ে পড়ে আছে
নগ্নতার ঝকঝকে আড়াল
আড়ালে শোক, শোকের বাগান
বাগানে বৃষ্টি খুব,
লোহার স্রোতে খয়েরি ঘুম
সীসার ভেতরে ঝাঁঝাঁ ক্ষোভ
এবং শোক ও পীতাভ,
বাগান ও হলুদ
অজস্র সবুজ রাত জেগে
চাষের মাঠের মৃত্যু গান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন