সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০০৯

শিরোনামহীন দু'খানা




অনেকদিন ধরে ঘুম ঘুম জেগে থাকা আর হঠাৎ জেগেই টের পাওয়ার দুঃসহ কাল কেটেছে তার,
তারপর অনেক ক্লান্ত হয়ে সূর্য ওঠার পরে সে অনায়াসে ঘুমোতে গেছে ভারী নীল পর্দাগুলো টেনে
মাঝে মাঝে এলোবাতাসে কুঁচো রোদ, নীল পর্দার গরাদের ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে
তার ঘুম ভাঙেনি, সারা রাতের ক্লান্তি আঠার মতো পাঁপড়ির ভাঁজে মিশে ছিলো, তবু সে মনে হয়
টের পেয়েছে আলোর আসা-যাওয়া আর চুরি করে তাকে দেখে ফেলাঘুম ভেঙেছে বহুদিন, সন্ধ্যে
পেরিয়ে শহর যখন গাঢ় আঁধার মাখছে, সাথে আরো মাখছে প্রসাধনী রূপসী মেয়েগুলো যেমন মাখে,
ঠিক তখন হঠাৎ চোখ খুলে সে জানালায় গোলানো লাল লালাভ আলো দেখেছেখুব ধীরে জেনেছে
এভাবে রোজ যেমন শহর সেজে ওঠে তখন তার ঘুম ভাঙেআমি আগেই জানি কারণ সবসময়েই তার
অপেক্ষায় থাকি, দুচোখ মেলে কাতর চেয়ে থাকি সে কখন উঠে বসবে, দু'হাত তুলে তার আড়মোড়া
ভাঙার ভঙ্গিতে দারুণ কমনীয় কামনার পালক লেগে আছেদেখো আমি কেমন অজান্তে ভেসে যাচ্ছি
তার ছড়িয়ে দেয়া আঙুলের নখ ছুঁয়েওড়বার বিলুপ্ত সাধ কোন অজানা কোণে লুকিয়ে ছিলো, ঘুম ঘুম!






তিনি দেখলেন দেয়াল ঝাপসা দুলছে
সরল দোলন শিখে ফেলা চোখ দেয়ালের শরীর
চেটে দেখে সেখানে কতটা হিম
কতটা বিভ্রান্ত ত্রুটি ঘটেছে

আজকাল তাঁর চোখের সামনে
মানুষ ও মানুষের মুখ হেসে ওঠে, স্বৈরিণীর মত
ক্রোধগুলো জেগে ওঠে তাঁর, কাটামস্তক
একে একে তুলে আনেন, আমি দেখি গলার নিচে
টপটপ কালো রক্ত ঝরছে

দেয়ালে সারি সারি আমাদের ছিন্ন মাথা ও চোখ তখনো হাসছে

***

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন