বুধবার, ২ জুলাই, ২০০৮

নেতা-পিতার বিচারালয়

পাপের প্রকৃতি স্বরূপে বিচার করেন
আমাদের প্রিয়, আদরণীয় নেতা-পিতা।


সকলে মোরা সারি সারি দিয়ে সামনে তাঁর
পিপীলিকার মত দাঁড়াই, শান্ত-শিষ্ট, নির্বিবাদী
আগে পিছে কারো সাথে ঝগড়ায় মত্ত হইনা,
আমাদের সকল মনোযোগ তখন সামনে
উপবিষ্ট নেতা-পিতার সৌম্য মুখভঙ্গি ঘিরে।


নেতা-পিতার সৌম্য সেই মুখে শরতের আকাশের মত
মেঘ-মাখা-রোদ খেলা করে। ক্রমশই আলো অন্ধকার,
নেতা-পিতা হাসেন, রেগে যান, ভ্রূকূটিতে বেঁকে যান
আমরা সামনে নিশ্চল অপেক্ষায় বিদ্যমান তখনও
বারম্বার পুলকিত হই, বিমোহিত হই।


নেতা-পিতা স্বীয় প্রজ্ঞায়, চুলচেরা হিসাব করেন
পুরুষের পাপ, নারীর পাপ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা-অশীতিপর
কিংবা শিশু, কিশোরী-বালিকা-যুবতীর পাপ।
সকলের আলাদা আলাদা মানদণ্ডের মাপকাঠিতে
নেতা-পিতা বিচার করেন।
বিচার শেষে মোরা যার যার ঘরে ফিরে যাই
শ্রান্ত, কিন্তু তৃপ্ত, মুগ্ধ।


প্রায়শ্চিত্ত বড় টানাপোড়েনে ভোগায় আমাদের,
তাই পাপস্খলন শেষে পরিতৃপ্ত শরীরে মোরা
স্বসম্ভোগে লিপ্ত হই, বিস্রস্ত হই
বিস্তৃত এবং প্রসারিত হই,শেষমেশ কেবলই
পুলকের বেদনা-আবেশে নির্ঘুম ঘুমে সুপ্ত হই।


নরম পালকের বিছানায় শুয়ে সেই পরম ঘুমের মাঝে
মোরা পূর্বজন্মের পাপের স্বপ্ন দেখি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন