বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০০৮

গতজন্মের পাপ নিয়ে শুভাগত যা ভেবেছিলো

একটানা ঘড়ঘড় আওয়াজ মাথায় নিয়ে শুভাগত যখন চোখ খুললো তখন তার বন্ধ মুখের ভিতরে একটা টক টক স্বাদ জিহ্বা বেয়ে গলা দিয়ে নামতে থাকে, আর সেই টকস্বাদের ঝাঁঝ এড়াতে সে উপরের দিকে মুখ তুলে সময়টা বোঝার চেষ্টা করতে থাকে। একটা ঢোঁক গিলে সে টের পায় কাঁথার নিচে বের হয়ে থাকা বামপায়ের উপরে কেমন ঠাণ্ডা একটা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সকালের আলো বলে দিচ্ছে বেশ একটু আগেই সে শৈশব পেরিয়ে এসে এখন ধীরে ধীরে কৈশোরের দিকে যাচ্ছে।


খানিক পরে তার উন্মাতাল যুবক-জীবন শুরু হয়ে যাবে যার খরতায় নিচের দু'পেয়ে নোংরা জীবগুলো দরদরিয়ে ঘামতে ঘামতে নিজেদের অদৃষ্টকে দুষতে থাকবে, আর সবার মনেই এই মধ্যগ্রীষ্মের সময়টা পার হয়ে কবে কয়েকফোঁটা করুণা নিয়ে বর্ষা আসবে সেই অসহায় প্রার্থনাটা বারবার ফিরে আসবে।


ঘড়ঘড় শব্দতে ঘুম ভেঙেছে শুভাগতের, এটা বুঝে ফেলার পরে সে উঠে বসে চারিদিকে চোখ বুলিয়ে ঠাহর করার চেষ্টা করে যে ঘরের কোথায় এই বিদঘুটে শব্দটা জন্মাচ্ছে। পড়ে থাকা কয়েকদিনের খবরের কাগজ মেঝেতে বিছানো, কারণ গতরাতে এখানে রয়েল ভকভক করে তীব্র অম্লগন্ধী বমি করেছে; আর বমি পায়ে লেগে পিছলে পড়ে গিয়ে সারা শরীরে তা মাখিয়েছে। এরপরেই শুভাগত পুরোনো কাগজগুলো বিছিয়ে দিয়ে বাকি বমিটুকুকে ঢেকে দিয়েছে যাতে রয়েল তার মাটিতে পাতা বিছানাটায় মাখিয়ে না দেয়।


একটু ধাতস্থ হয়ে নিয়ে শুভাগত বুঝতে পারে যে ঘড়ঘড় শব্দের উৎপত্তি বাইরে আর চলন ভেতরের দিকে। এই পাথরভাঙা ড্রিলমেশিনের ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়ার শব্দটা পাশের বাড়ির দেয়ালে ফুটো করার জন্য হচ্ছে যেটা নিয়ে চিন্তা করে শুভাগত অনেকটাই বিরক্ত হলো। স্বভাবতই আজকে একটা ছুটির দিনে এটাই করতে হবে বাড়িওয়ালার আর তাই এই শৈশব-পেরোনো সকালটাকে বলাৎকার করে একটা শক্তপোক্ত খড়খড়ে দিন বানানোর জন্য তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন।


এখানে আসলে ভাড়াটে হিসেবে এমনিতেই কারো কিছু বলার নেই, কারণ আর সব ছা-পোষা ভাড়াটেরা সপ্তাহে ছয়দিনের নিয়মানুযায়ী সকালেই উঠে গেছে হয়তো। যেসব নতুন বা আধা-পুরোনো দম্পতিরা কালরাতে শক্তিক্ষয় করে একে অপরকে ঘর্মাক্ত, ক্লান্ত করে এই তৃপ্তি পেয়েছে যা তারা বেশ একটা সুখী জীবন যাপন করছে, তারাও সকালে পেটের চনমনে ক্ষুধাটাকে মেরে ফেলার জন্য খিচুড়ি দিয়ে ডিমভাজি বা পরোটা ছিঁড়ে ছিঁড়ে মাংস খাবার চক্করে উঠে পড়েছে!


শুধু শুভাগত আর রয়েল আর আরো দুইজন ছেলে যাদেরকে রয়েল কিভাবে যেন চিনে তারা চারজন সারারাত জেগে ঠিক কখন ঘুমিয়েছে তা টের পায়নি, আর তারাই চাচ্ছিল যেন সারাদিন তাদের চোখ খুলতে না হয়। এজন্য চারিদিকে পর্দাগুলো টেনে আলো আটকে রেখেও লাভ হয়নি খুব একটা, কারণ এখন শুভাগতকে দেখা যাচ্ছে লুঙ্গির গিঁট বাঁধতে বাঁধতে বাথরুমের দিকে যাচ্ছে। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে নিজেকে মুক্ত করে শুভাগত হাতমুখ ধুয়ে এসে টের পায় যে তার পেটে গুড়গুড় করে এসিড ঘোলাচ্ছে আর মুখের সেই টকভাবটা ব্রাশ করার পরেও দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে ফিরে আসছে। জামা বদলে নিচে নেমে তেলেচুবানো পরোটা আর ডিমভাজি খেতে খেতে শুভাগত সারাদিন কী করবে তা ভাবতে থাকে।


কাল সারাদিনে প্রিয়তা তাকে অনেকবার ফোন করেছে। মেয়েটা ক্লান্তিহীন ঝিঁঝিঁপোকার মতো একটানা ফোন করে যেতে পারে, এতটাই যে ফোনের কম্পনও একসময় শুভাগতকে বিরক্ত করে দেয়। অবশেষে সে ফোনটাকে পুরোপুরি নীরব করে দিয়ে বসে থাকে যাতে ঐ বিজবিজ শব্দটাও না হতে পারে। প্রিয়তাকে এড়িয়ে চলার পেছনে যেটা প্রধান কারণ তা ঠিক কীভাবে ওকে বলা যায় সেটা বুঝে উঠতে পারেনি বলেই বেশ ক'বার ফোনটা হাতে নিয়েও কথা বলার ইচ্ছাটাকে বশে আনতে হয়েছে। ফোনটা নেহাতই বন্ধ করে দেয়নি মেয়েটার ওপর এতো কঠোর হতে পারেনি বলে। এহেন পরিস্থিতিতে তেল-পরোটা টেনে টেনে ছেঁড়ার সময় তার মনে আরেকবার প্রিয়তা উঁকি দিয়ে যায়।


খাওয়া শেষে আবার বাসায় ফিরে আসতে আসতে সে খেয়াল করে মুখ চটকে চুল গুছিয়ে রয়েল তার রুম থেকে বের হয়ে আসছে। ওর প্যান্টে এখনও হলুদে-সবুজ বমির দাগ কালচে হয়ে লেগে আছে যদিও সেটা নিয়ে শুভাগত খুব একটা মাথা ঘামালো না। রয়েল কোথায় যাচ্ছে সে বিষয়েও সে চিন্তিত না। তাই ওকে নীরবে পাশ কাটিয়ে শুভাগত আবার নিজের ঘরে ঢুকে পড়ে।


বাইরে একটু একটু করে যুবক সকাল তেজ বাড়িয়ে গোঁ গোঁ করতে করতে পর্দা-জানালা পেরিয়ে ঘরে কুঁকড়ে থাকা বমিল্যাপ্টানো কাগজ আর কালশিটে মোজাইক মেঝের উপরে চৌকো চৌকো ট্র্যাপিজিয়মিক খোপ কাটছে আর ঘরের অন্যপাশে বিপ্রতীপ অন্ধকার অনেকটাই চমকে পালিয়ে বের হবার ফন্দি করছে। কাগজ মাড়িয়ে জাজিমে বসার আগেই বাইরে অসহিষ্ণু কড়া-নাড়ার শব্দে শুভাগত একটু চমকে ওঠে। এই বেলা ছুটির দিনে তার আর রয়েলের খোঁজে আসার মত মানুষ খুব বেশি নেই আর যারা আছে তারাও এরকম কড়া না নেড়ে টুকটুক শব্দ করে চুপ করে যায়, যেন খুব ধীরস্থিরভাবে তারা কুমারীকন্যায় প্রথম প্রবেশের মতো অপেক্ষা আর অগ্রসরতায় সামঞ্জস্য রাখতে চায়।


দরজা খুলে দেখা যায় দোতলা উপরের বাসিন্দা ঘোলাটে, কটাচোখো-ডিপ্লোমার বউ দাঁড়িয়ে এবং তার অস্থির কড়ানাড়ায় আর উত্থিত বুকের দ্রুত ওঠানামায় সে যে খুব ব্যাকুল হয়ে আছে সেটা বুঝে নিতে পারে শুভাগত। সে একটু আগেই রয়েলকে বেরিয়ে যেতে দেখেছে এবং জানালা ছেড়ে এখন সিঁড়িগুলো তরতরিয়ে নেমে শুভাগতের কাছে চলে এসেছে। তার ডিপ্লোমা স্বামীটি নির্ঘাৎ সকালের নাশতা করে আরেকদফা ঘুমের চেষ্টা করছে অথবা আরও সম্ভাব্যতায় এই ছুটির সকালে বেরিয়ে গিয়ে সে তার মা এবং অসুস্থ বোনকে দেখতে গিয়েছে। সেসময়ে তার উত্থিতবক্ষা স্ত্রী শরীর খারাপের টালবাহানা দিলে তার কিছু করার থাকে না। অথচ সে বেরিয়ে গেলে স্ত্রীটি শ্বাপদের মতো রয়েলের বেরিয়ে যাওয়া আর শুভাগতের ঘরে ফিরে আসার অপেক্ষা করছিলো। এখন ঘরে ঢুকেই দ্রুত কাঁপাহাতে ছিটকিনিটা লাগিয়ে দিয়ে সে দরজায় পিঠ ঠেকিয়ে শুভাগতের দিকে তাকিয়ে একটু থেমে থেমে শ্বাস নিতে থাকে। অনিয়মিত স্পন্দনে শুভাগতের মনে হতে থাকে যে মহিলাটি হয়তো মানসিক দিকটি ছাড়াও শারীরিকভাবেও পুরোপুরি সুস্থ নয়! তবুও অনেকটা নিস্পৃহতায় যেভাবে সে রোজ গোসলের সময় লাক্স ডলে ডলে নিজেকে পরিষ্কার করে সেভাবেই আঁকড়ে ধরে ডিপ্লোমা-স্ত্রীকে। গরমে তার শার্টের তলে পিঠে চিকন ঘাম জেগে উঠলে এবং ডিপ্লোমা-স্ত্রীয়ের নিঃশ্বাসে পেঁয়াজের হালকা ঝাঁঝাঁলো গন্ধটা পেলে সেই গতিতে বাধা পড়ে এবং অযথাই শুভাগতের ক্লান্ত লাগে; ক্রমশ নিজেকে এভাবে অভাবিত-রকমের ক্লান্ত জেনে শুভাগত খুবই অবাক হয়। রমণ তো ক্লান্তিকর ছিল না?


ব্যাপারটা বেশ ফালতু কথাবার্তা, যেভাবে ক্রিকেটারগুলো অনুশীলনের নাম করে আলগোছে বল লোফালুফি করে তেমনিভাবেই শুরু হয়েছিলো যেহেতু শুভাগত আর ডিপ্লোমা-স্ত্রী একইভাবে অবসরপ্রাপ্ত গৃহবন্দী। যদিও তারা দুজনেই জানে যে তাদের মধ্যে চাহিদা এবং আকাঙ্খার ব্যাপ্তিতে দারুন আকাশপাতাল তফাৎ। তবুও এই খণ্ড খণ্ড ঘাম-শীৎকার-হাঁপানি তাদের দুজনেরই ভালো লাগে। কিন্তু আজকে কেন জানি পুরো ব্যাপারটায়, এই একঘেঁয়ে পরিষ্কার-পর্ব আর এর পরের নোংরা হওয়ার নাটকে শুভাগত অভিনয় করতে চাইলো না। ডিপ্লোমা-স্ত্রী খুব মন-খারাপ, হতাশ, পুলক-অতৃপ্ত চেহারা নিয়ে পা টেনে টেনে সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলে শুভাগত নিজেকেই দুষতে থাকে আর প্রিয়তাকে দায়ীও করতে থাকে। সব রাগটুকু প্রিয়তার উপরে গিয়ে পড়লে শুভাগত মনস্থির করে আজকেই সে এই সম্পর্কটা অ্যাবোরেশনের মত টেনে বের করে পেট্রিডিশে ফেলে দিবে। ঝিমঝিমে রাগটা ঝাপটা দিতে থাকে কানে, গলায়, মুখে, হাতের তালুতে। একটু পরে শুভাগতকে দেখা যায় নিজেই ফোনে প্রিয়তার আপাত-উৎকণ্ঠা আর স্লুইস-গেট-খুলে দেয়া উদ্বেগ-উচ্ছ্বাস নিরাময় করে তাকে বিকেলবেলা দেখা করতে বলছে। বিকেলই সই, সময়টা বেশ নরোম থাকে, এরকম ভাবতে ভাবতে শুভাগত গা এলিয়ে দেয় টক বমি-ঢেকে-রাখা কাগজের পাশের জাজিমে।


বিকেলে প্রিয়তার সাথে দেখা করতে গিয়ে শুভাগত আবিষ্কার করে যে এই ভাঙা-গড়ার খেলায় সে বেশ অপরিসীম বিরক্ত হয়ে উঠছে। এজন্য সে পুরো দায়ভার সে বিগত বান্ধবীদের ঘাড়ে চাপাতে চায় কারণ বিচারকার্য তার মনেই সম্পন্ন হচ্ছিলো। প্রিয়তাও একই দোষে দোষী- এরকম ভাবনা মাথায় এলেই সে মাছিতাড়ানো ঝাপটায় তা তাড়িয়ে দেয়। প্রিয়তা দোষী না, প্রায় এরকমই আরেকটা মেয়ে ছিলো, বিশাখা, যাকে শুভাগতের একইরকমের ভালো লাগতো, যেভাবে এখন প্রিয়তাকে লাগে। সেসময় ঐ বাসায় শুভাগতের সাথে থাকতো মঞ্জুর, দশাসই, লম্বা ছেলেটা কোথায় এখন? মঞ্জুরের চিন্তা পানিতে ছুঁড়ে দেয়া চারার মতো শুভাগতের চিন্তাকে একটু আলোড়িত করে যায়। কালরাতে রয়েলকে নিয়ে এত খাওয়া ঠিক হয়নি, অনভ্যস্ত শরীরে আজকে আবার সেই ক্ষুধাটা চাগিয়ে উঠছে। এটা খুব একটা ভালো সংবাদ না কারণ আজকে রাতে রয়েল থাকবে না আর শুভাগত ভালো করেই জানে যে এই নেশার মজাটা একা একা উপভোগ করা যায় না। তিনদিন আগে নেশাটা মাথায় চেপেছে ওর, সেই থেকে বিকারগ্রস্তের মতো নিজেকে পুঁথি পড়িয়ে সামলে রাখছে শুভাগত, অবাধ্য বিড়াল!


তিনদিন আগে প্রিয়তা এসেছিলো শুভাগতের ফ্ল্যাটে, সেসময় কোন এক বিদঘুটে কারণে শুভাগত ছিলো না। তাতে ওর কোন সমস্যা হয়নি কারণ রয়েল নিজেই ছিটকিনি খুলে তাকে ভিতরে বসতে দিয়েছিল। এরপরের ঘরের দরজা ওদের পেছনে বন্ধ হয়ে গেলে ওপাশে কী ঘটেছিল তা-ও শুভাগত জানতে পারেনি আর ফিরে এসে দরজা খুলে সে দুজনকে বাইরের ঘরটায় বসে থাকতেও দেখেনি। তবে খুব বিদঘুটে কারণে সে প্রিয়তার অসহ্য আরামদায়ক চাপাস্বর শুনেছে যা রয়েলের ঘর থেকে বের হচ্ছিলো আর পুরো ব্যাপারটার মিনিটখানেক পরে সে বের হয়ে এসেছিলো। রাস্তায় নেমে হনহন করে হেঁটে অনেকদুরে গিয়ে কোথাও সে বসেছিলো অনেকটা সময় সেটা শুভাগত এখন মনে করতে চায় বা চায় না।


বিদঘুটে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একটার পর একটা ভাবলে শুভাগতের মাথায় পুরোনো নেশাটা আবার বিশ্রীভাবে জেগে ওঠে একটা কামুক সাপের মতো। প্রিয়তাকে আজ এখানে ডেকেছে সেই নেশাটাকে শান্ত পুষিবিড়াল বানিয়ে ফেলার জন্য। কালরাতে রয়েল আর সে ছিলো, সাথে বাকি দুজনকে এখন ঝাপসা লাগে। সকালে উঠে তাদের দেখেছে বলে মনে পড়ে না। তাদের উপস্থিতি নিয়ে একটু দোলাচলে পড়ে যায় শুভাগত। তবে একগাদা মদ খেয়ে রয়েলের বমি করাটা স্পষ্ট উজ্জ্বল। ছোট বাঁকানো ছুরিটা তলপেটে হালকা চাপে ঢুকিয়ে রয়েলকে জড়িয়ে ধরে শুভাগত যখন উপরে টানছিল তখন মনে হচ্ছিলো রয়েল কেমন নির্বাপিত সলতের মতো শ্বাস নিচ্ছে, অনেকটা যেভাবে ডিপ্লোমা-স্ত্রী শ্বাস নেয়।


বিশাখাকে মনে পড়ছে আবার, কী অদ্ভুত মিল দু'জনার! মঞ্জুরও অনেক বমি করেছিলো। প্রিয়তার জন্যে অদ্ভুত সুখ অনুভব করে শুভাগত। কফিশপের ভিতরে হালকা আমেজী ঠাণ্ডায় শরীরকে মেলে দিয়ে শুভাগতের মুখের স্মিত হাসিটা বড় হতে শুরু করে। বাইরে সন্ধ্যা নেমে এসেছে একটুক্ষণ আর বেশ্যাভরা শহরের হলদে আলোগুলো রাস্তায় রাস্তায় জ্বেলে দেয়া হয়েছে। কর্কশ খিস্তির মতো শব্দ করে চকচকে গাড়িগুলো একটা একটার পেছনে লেগে এগুতে থাকে, যেভাবে রমণের পূর্বে পুরুষপশুটি শুঁকে শুঁকে যাচাই করে উপযুক্ত নারীপশুটিকে। প্রিয়তাকে আবছা দেখা যাচ্ছে, সব শব্দগুলো ছাপিয়ে রমণে উদ্যত পশুপাল পেছনে ফেলে একটা দৈবদীপ্তিতে উজ্জ্বল হয়ে দুইধাপ সিঁড়ি অবলীলায় পেরিয়ে মৃদুপায়ে এগিয়ে আসছে।




----

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন